পাগলাটে সমর্থকদের তেজটা টের পেল রাজশাহী

এই অভিজ্ঞতা রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিল। ভিনদেশী ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ঠিক কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেটাও হয়ত আন্দাজ করা গেল।

কি পরিমাণ চাপে থাকতে হয় বাইরের ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে, তার একটা স্বাদ এবার পেয়ে গেল রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স। তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে নেপালি সমর্থকরা রাগ উদগীরণ করে গেলেন। ঠিক যেমনটি বাংলাদেশী ভক্তরা করে থাকেন ভিনদেশি ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল), নেপালের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আছেন সন্দীপ লামিচানে। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন তিনি। রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সের হয়ে তিনি অবশ্য দু’টো ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু আশার প্রতিফলন সেই অর্থে ঘটাতে পারেননি। তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন বটে। তবে ৭৩ রান বিলিয়েছেন তিনি দুই ম্যাচে।

তাছাড়া তীব্র কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে, সিলেটের উইকেটে সন্দীপের প্রয়োজনীয়তা হয়ত অনুভব করেনি রাজশাহীর টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণেই তাকে বাদ দিয়ে একাদশ ঘোষণা করে রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স। ফেসবুকে তাদের একাদশ ঘোষণার পোস্টটিতে ‘অ্যাংরি’ রিয়্যাকশনে ছয়লাভ হয়ে যায়। কমেন্ট বক্সে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটান নেপালি ক্রিকেট সমর্থকরা।

তাদের অভিমানের তোপে দিশেহারা রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সের সোশ্যাল মিডিয়া টিম। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে তাদেরকে আরও একটি পোস্ট দিতে হয়েছে, দুঃখ প্রকাশের সুরে। সেখানে ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘নেপালের ক্রিকেট ভক্তদের আবেগ আমরা বুঝি। সন্দীপ লামিচানে দলের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন, আর দলের একটি সিদ্ধান্ত তাঁর মূল্য কমাতে পারে না। চলুন, ধৈর্য ও গর্ব নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সমর্থন করি।’

সেখানে যদিও নেপালি সমর্থকরা রাগ ঝেড়ে অভিমানের সুরেই নিজেদের অভিযোগ জানিয়ে গেছেন। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিল। ভিনদেশী ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ঠিক কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেটাও হয়ত আন্দাজ করা গেল। নিজেদের ব্যবহারের প্রতিরুপ ঠিক কেমন হয়- এর থেকে ভাল উদাহরণ হয়ত আর হতে পারে না।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link