২০০৬ সালে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফরের তোড়জোড় চলছে। সেই জিম্বাবুয়ে, যেখানে ঠিক একবছর আগে আরেক বাংলার এক বাঙালি অধিনায়কের ক্রিকেট জীবন ঘোর অনিশ্চয়তায় দাঁড়িয়েছিল নানা বিতর্কে। সেই জিম্বাবুয়েতেই বছর খানেক পরে অন্য এক বাঙালির উদয়, যিনি পরের এক যুগেরও বেশি সময় দেশে বিদেশে অবিশ্বাস্য ভাবে দেখিয়ে গেছেন কলিজার জোরটা এখনো বাঙালির আছে ক্রিকেট মাঠে।
সেই বাঙালি যখন জিম্বাবুয়ে সফরের দলে নির্বাচিত হলেন তাঁকে নিয়ে বিশেষ আশা দেখেননি সেই সময়কার দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও। তিনি মূলত, বাঁ-হাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার, তা তাঁর মত খেলোয়াড় বাংলাদেশে তখন বেশ আছেন। মানজারুল ইসলাম রানা আছে, ওদিকে মোহাম্মদ রফিকের মত সিনিয়র স্পিনার বা আব্দুর রজ্জাক তো রয়েছেনই।
আর ২০০৭ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলটাও মোটামুটি গুছিয়ে উঠেছে। তার মধ্যে নির্বাচক প্রধান ফারুক আহমেদ গছালেন আরেক স্পিনার অলরাউন্ডার। হারারের বিমানে ওঠার আগে বাশারকে মনে করিয়েও দিলেন ওই রোগাপাতলা বছর উনিশের ছেলেটার দিকে খেয়াল রাখতে, সে নাকি আবার স্পেশাল ট্যালেন্ট।
যাই হোক প্রস্তুতি ম্যাচে ওই বছর উনিশের ছেলেটি, হ্যাঁ নাম তাঁর সাকিব, তার বোলিং দেখে উছ্বসিত হওয়ার কিছু দেখলেন না বাশার আবারো। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ তখন পকেটে পুরেছে জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচে সাকিব বলে ছেলেটার ভাগ্গ্যে এবার শিকে ছিঁড়লো, অবাক চোখে বাশার দেখলেন প্রস্তুতি ম্যাচে যে সাকিব কে তিনি দেখেছেন সে সম্পূর্ণ আলাদা। বল হাতে একটা উইকেট আর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩০ টা রান করে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরলো ছেলেটি।
সেদিনের সেই ছোট্ট পারফরমেন্স তাঁর সম্পর্কে ধারণাটাই পুরো বদলে দিলো বাশার সহ গোটা দলের। না, এক ভুল তিনি দ্বিতীয় বার করেন না, আর করেননা বলেই ১৪ বছর পরে ক্রিকেটজগৎ এক ডাকে চেনে তাঁকে, তিনি সাকিব আল হাসান।
ধারাবাহিকতার অভাব আর বাংলাদেশ দল যখন সমার্থক হয়ে উঠেছিল। সেই সময়ই ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি হয়ে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভাব সাকিবের, যে অসম্ভব ধারাবাহিকতা ২০১৯ সাল পর্যন্ত ও পিছু ছাড়েনি তাঁর। সেই জিম্বাবুয়ে সফরে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আর বিশেষ বেগ পেতে হয়নি তাঁর।
সুযোগ এসে গেল কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বকাপেও। আর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ত্রিনিদাদে ‘দৈত্যবধ’ মানে ভারতবধ করতে এক বড়ো ভূমিকাই নিয়ে নিলেন বছর কুড়ির ছেলেটি, বল হাতে প্রথমে দুটো উইকেট আর পরে ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি দলের জয়ে বিশাল অবদান রেখে যায়। এই যে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করলেন – এ ধারা তাঁর অব্যাহত রইলো পরের তিনটে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও।
অর্থাৎ, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করা সাকিবের রেওয়াজ বলা যায়, যে রেকর্ডের মালিক তিনি একাই গোটা বিশ্বে। যাই হোক বিশ্বকাপের পরে সুযোগ এসে গেল টেস্ট ম্যাচেও ভারতের বিরুদ্ধে। সে বছরে হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে বড় ভূমিকা রাখলো তাঁর গোল্ডেন আর্ম, অর্থাৎ তাঁর বোলিং, চার উইকেট নিয়ে শুরু কুড়ি বিশের বিশ্বকাপেও। সব ধরণের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি সাকিবের।
২০০৬ থেকে ২০১৯, এই ১৩ বছরের কিছু বেশি সময়, গোটা ক্রিকেটবিশ্বে দলের জয়ে বা দলের ব্যাট বা বল হাতে এত ধারাবাহিক পারফরমেন্স খুব কম মানুষেরই আছে, একটা কখনো সখনো অঘটন ঘটিয়ে জেতা দলকে বিশ্ব ক্রিকেটে নিয়মিত জয় পাওয়া দলে পরিণত করার ক্ষেত্রে যাঁর অবদান সর্বাধিক তিনি আর কেউ নন, সাকিব আল হাসান। কত ম্যাচ যে কখনো ব্যাট হাতে, কখনো বল হাতে আর বেশিরভাগ সময়ে দুই দিকেই সমান ভাবে থেকে বাংলাদেশকে অনেক কঠিন বৈতরণী পার করে দিয়েছেন তার তুলনা তিনি নিজেই।
দলের রান ৩ উইকেটে ২০, ধরে থাকতে হবে, তারপর ম্যাচ জেতাতে হবে? সাকিব আছেন।
হাতে মাত্র ১০ ওভার বাকি, নেমেই চালাতে হবে, দলের রান অন্তত আড়াইশ পার করা চাই? সাকিব আছেন।
বিপক্ষের অনেক্ষন উইকেট পড়ছে না, কী করে জুটি ভাঙা যায়? সাকিব আছেন।
বোলিং ওপেন করতে হবে, স্ট্রাইক বোলার নেই, কী করা যায়? সাকিব আছেন।
হ্যাঁ, রণে বনে জলে জঙ্গলে, বা বিশ্বকাপে, এশিয়া কাপে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে, অস্ট্রেলিয়া টেস্টে যখন যেখানে বাংলাদেশের কঠিন বৈতরণী পেরোনোর দরকার, সাকিব সেখানে সবসময় আছেন। কখনো অর্জুনের মত লক্ষ্যভেদী, আবার কখনো বা কর্ণ, যাঁর রথের চাকাও বসে যায়, কিন্তু শেষ চেষ্টা থেকে কখনো বিরত থাকেন না।
আজও বাংলাদেশ টিমলিস্টে এই নামটাকেই বিপক্ষ সবচেয়ে বুঝেশুনে চলে। তিনি সাকিব – এক ইস্পাত কঠিন মানসিকতার সঙ্গে আবেগের নিদারুন বহিঃপ্রকাশের মিশ্রণই হলেন সাকিব, যিনি ব্যাটে বলে সমান ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জেতাতে পারেন, ভারতের বিরুদ্ধে ২৯০ রান তাড়া করতে গিয়ে ৩০ বলে ঝোড়ো ৪৯ করে ম্যাচ জিতিয়ে আসতে পারেন, যিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মরণবাঁচন ম্যাচে দলের ৩৩ রানের ভেতর ৪উইকেট পড়ে গিয়ে কোমায় চলে যাওয়া দলকে ২৬৫ তাড়া করে জিতিয়ে তুলতে পারেন মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গী করে।
আবার তিনিই পারেন এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২রানে হারের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে মুশফিকুর রহিমকে বুকে জড়িয়ে চোখের জলে ভরাতে কিংবা নিদাহাস ট্রফির মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ‘নো’ বলকে কেন্দ্র করে টিম তুলে নেওয়ার হুমকিও দিতে। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ তিনি, বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঔদ্ধত্যের ও প্রতিমূর্তি তিনিই, এ ঔদ্ধত্ব বোধহয় তাঁকেই মানায়।
খুলনার মগুরায় জন্ম নেওয়া সাকিব প্রথম চোখে পড়েন যুব দলের একদিনের ম্যাচে, ২০০৫ সালে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করে, তার এক বছরের মধ্যে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া আর আরো বছর খানেকের মধ্যে দলের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ হয়ে ওঠা সাকিব সাদা বলের ক্রিকেটে আর লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমদিকে ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন।
সাদা বলের ক্রিকেটে মূলত তিনি ব্যাটিং অলরাউন্ডার আর জেমি সিডন্স কোচ হয়ে আসার পর টেস্ট ক্রিকেট তাঁকে চিনলো বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে। রফিক ততদিনে অবসরে। টেস্টে সাকিবের হাতেই মূল স্ট্রাইক বোলারের দায়িত্ব। এর মধ্যে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্ট হয়ে দাঁড়ালো দুই দলের দুই বাঁহাতি স্পিনার অলরাউন্ডারের দ্বৈরথ, যেখানে প্রথম ল্যাপে ৩৬ রানে ব্ল্যাকক্যাপদের ৭ উইকেট তুলে নেওয়া সাকিব হেরে গেলেন ভেট্টোরির অতিমানবীয় পারফরমেন্সে।
বছর ঘুরতেই মাশরাফি বিন মুর্তজার চোটের ফলে টেস্ট ও একদিনের দলে অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব ও চাপলো সাকিবের কাঁধে, কাউকে নিরাশ করেননি তিনি। নিজে সিরিজের সেরা হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জেতালেন দলকে। তার আগে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ৬৯ বলে ৯২ রানের এক অসাধারণ ইনিংস বাংলাদেশ কে তুলেছে কোনো ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে।
সময় যত এগিয়েছে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় রূপে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। ঘরে বাইরে অনবদ্য সাফল্য সাকিবের মুকুটে যোগ করলো আরো নতুন পালক, প্রথম বার একদিনের ক্রিকেটে সেরা অলরাউন্ডারের স্বীকৃতি এলো, যেটাকে পরের দশ বছর প্রায় ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে রেখেছিলেন আর তার সাথে উইজডেন এর বিচারে ২০০৯ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হলেন। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার বিশ্বক্রিকেটে যিনি তিন ফরম্যাটেই বহু সময় এক নম্বর অলরাউন্ডার ছিলেন।
অধিনায়ত্ব ও তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্যে থাবা বসাতে পারেনি, নিউজিল্যান্ড কে প্রায় একার হাতে হারালেন সাকিব, একদিনের ক্রিকেটে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ। পরের বিশ্বকাপেও দলের ব্যাটন ধরে রাখলেন সাকিবই।
২০১২ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল বাংলাদেশ মাত্র ২ রানে হারলেও টুর্নামেন্ট টাকে সাকিবের এশিয়া কাপ বললেও অত্যুক্তি হয়না, প্রতি ম্যাচেই চোখ ঝলসানো পারফরমেন্স তাঁর সঙ্গী, আর ক্যারিয়ার যতই এগিয়েছে পারফরমেন্স এর সঙ্গে রেকর্ড ও তাঁর হাত ধরাধরি করেই চলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট আর সাকিবের রেকর্ড গত একযুগ প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে।
স্পিন বোলিং দিয়ে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার বললে আজও অনেকে নাক সিঁটকান, আসলে তাঁর মত স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারই বিরল বিশ্ব ক্রিকেটে। পারফরমেন্স বা দলকে জেতানোয় কোনো অংশেই তিনি অলরাউন্ডার জগতের কিংবদন্তী কপিল, বোথাম, ইমরান, হ্যাডলি, ক্যালিস, ক্লুজনার, পোলক, ফ্লিনটফ বা আজকের দিনের স্টোকস, জাদেজা এদের থেকে খুব পিছিয়ে থাকবেন বলে মনে হয় না।
হয়তো পাশে সবসময় পাননা তাঁর লেভেলের একজন ম্যাচ উইনারকে, কিন্তু তামিম, মাশরাফি, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে অনেক বিজয়গাঁথা রচনাতেই তিনি ধ্রুবতারার মতোই উজ্জ্বল। এক টেস্টে সেঞ্চুরি আর দশ উইকেট এই অতিমানবীয় কৃতিত্ব ইয়ান বোথাম আর ইমরান খানের এলিট লিস্টে একমাত্র তাই সাকিবের নামটাই জ্বলজ্বল করে, খুলনায় জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে করেছিলেন তিনি।
বড়ো ম্যাচে, কঠিন সময়ে বাংলাদেশের বরাবরের ত্রাতা সাকিব, সে বেসিন রিজার্ভে সাউদি, বোল্টদের সামলে ডাবল সেঞ্চুরি হোক, বা মিরপুরের মাঠে দুরন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু’ইনিংস মিলিয়ে দশ উইকেট তুলে নিয়ে টেস্ট জয়ের নায়ক হওয়াতে হোক বা লঙ্কার মাটিতে প্রথম বার টেস্ট জয়ে তাঁর অনবদ্য ১১৬ আর বল হাতে ৬ উইকেট নেওয়া হোক, সবেতেই সাকিব যেন বাংলাদেশ দলের কাছে ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো।’
২০১৯ সালে রানীর দেশে বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে অসাধারণ কিছু সাফল্য ছিল না তাঁর, আর সেজন্যই বিশ্বকাপের একবছর আগে থেকেই ব্যাটে বলে শান দিচ্ছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপ শুরু হতেই সাকিব যেন এক ‘সুপারম্যান’। গোটা বিশ্বকাপে প্রায় একার হাতে দলকে টেনে নিয়ে গেলেন এক অসম্ভব অতিমানবীয় পারফরমেন্স দিয়ে। যাঁর জন্য শেষ ম্যাচের আগে অবধিও একটু হলেও বেঁচে ছিল বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার আশা।
যার শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনবদ্য ৭৫ দিয়ে, আর শেষ হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬৪ দিয়ে। যার মধ্যে আরো তিনটি অর্ধশতরান আর দু’টি শতরান ঘটে গেছে টওন্টনে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ৩২৩ রান তাড়া করে অনবদ্য শতরানে জয় এর মধ্যেই ঘটে গেছে।
সেই টওন্টনে যেখানে কুড়ি বছর আগে আরেক বাংলার এক বাঙালির তোপে ছারখার হয়ে গেছিলেন মুরালিরা। কুড়ি বছর পরে আবারো এক বাঙালি টওন্টনকে সেই স্মৃতিই আবার যেন উস্কে দিলো। না, সাকিবের এই সব ‘সুপারম্যান’ পারফরমেন্স বাংলাদেশকে পরের রাউন্ডে নিয়ে যেতে পারেনি যোগ্য সঙ্গীর অভাবে। কিন্তু তিনি শেষ করলেন ৬০৬ রান আর ১১টি উইকেট নিয়ে।
পৃথিবীর কোনো ক্রিকেটারই কোনো বিশ্বকাপে ৫০০-এর ওপর রান করে সাথে ১০-এর বেশি উইকেট নিয়ে এই অতিমানবীয় কিছু করে দেখাতে পারেননি, কিন্তু তিনি পেরেছেন, তিনি সাকিব আল হাসান, তিনি পারেন, হ্যাঁ তাঁকেই বোধহয় এটা মানায়।
কিশোর বয়সে বিসিবির হাই পারফরমেন্স সেন্টারে এক সময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম সাকিবের নাম দিয়েছিলেন ‘ময়না’। তারপর থেকে কেমনভাবে যেন তাঁর সতীর্থ দের মধ্যে ময়না নামটা বেশ চালু হয়ে যায়। ক্রিকেট মাঠে কখনো ব্যাট হাতে আবার কখনো বল হাতে অনেক সুরের মূর্ছনায় বিপক্ষকে সম্মোহিত করে দিয়েছেন সাকিব।
তাঁর মধ্যে আরো বছর কয়েক ক্রিকেট এখনো বেঁচে, আবারো তাঁর প্ৰিয় মৃগয়াভূমি মিরপুরের মাঠে তাঁর নামে জয়ধ্বনি উঠবে, আবারো ক্রিকেট মাঠে ময়না পাখির গান অনেক নতুন সুর রচনা করবে, ৭৫ নম্বর জার্সিটা শেষ বারের মত তুলে রাখার আগে ক্রিকেট বিশ্ব আরেকবার দেখে যাবে বাঙালির কলজের জোর, আবেগপ্রবণ বাঙালি তো আশাতেই বাঁচে। আর সেখানে সাকিব আল হাসান নামটা তো এক যুগের বেশি বাংলাদেশের ১৬ কোটির আশারই অপর নাম, পারবেন না সাকিব?