‘কেন উইলিয়ামসনের হাতে গদা’ কেমন বেমানান শোনায় না? কিছু গুঁড়িয়ে দেওয়া তো তাঁর ধাতে নেই!
আরো পড়ুন
- যেভাবে অপ্রতিরোধ্য ব্ল্যাকক্যাপরা
- বিশ্বহারের ময়নাতদন্ত
- অনেক সাধনার পরে আমি…
- কিউই উত্থানের নেপথ্যে…
- দ্য ওয়ে অব ডেভন কনওয়ে
- হু ইজ ওয়াটলিং!
অবশ্য ‘গদা’ শুনলে যেমন মুগুরের মতো দশাসই কিছু একটা চোখে ভাসে, এই গদা তেমন কিছু নয়। আগের টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলের ট্রফি, এখনকার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি এই ‘গদা’ দারুণ সুদৃশ্য। তার পরও, উইলিমসনের হাতে গদা শুনলে অস্বস্তি হয় কেমন।
বাঁশি বরং খুব যায় তার সঙ্গে। তার মতো সম্মোহনী ক্ষমতা কজনের আছে আর! এই ছবিটায় যেমন মনে হয়, গদাটা ধরে আছেন বাঁশির মতো করে।
সুর বেধে আসছেন তিনি অনেক দিন ধরেই। কিন্তু বারবারই সেই আনন্দ লহরীর শেষ পরিণতি হয়ে উঠছিল বিষাদের বিউগল।
আক্ষেপ, হতাশা, বিষাদ, শূন্যতা।
দীর্ঘ সেই প্রতীক্ষা, কত কাতর অপেক্ষা, যন্ত্রণার অনেক প্রহর পেরিয়ে অবশেষে বেজে উঠল আনন্দের ঝংকার।
পরপর দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালের হৃদয়ভাঙা হার, সুদীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে স্রেফ একটি নকআউট বিশ্বকাপ ছাড়া বড় কোনো ট্রফি না পাওয়ার অপ্রাপ্তি, নানা সময়ে সেমি-ফাইনালের চৌকাঠে বারবার আটকে পড়া।
সব হাহাকারের হিসাব মিলিয়েই বুঝি আজকের এই সাফল্য।
ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে, ১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম বৈশ্বিক আসরে। প্রথম আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চ্যাম্পিয়ন, এটিও যেন পাওয়ার ছিল নিউজিল্যান্ডের।
যার হাতে এই ট্রফি, তার চেয়ে যোগ্য আর কে হতে পারতেন! নিশ্চিতভাবেই নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান ও সেরা অধিনায়ক (কিংবদন্তি মার্টিন ক্রোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই) ব্যাটসম্যান বা অধিনায়ক সত্ত্বা ছাপিয়ে যিনি প্রায়ই হয়ে ওঠেন অসাধারণ এক ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।
অভিনন্দন কেন উইলিয়ামসন। অভিনন্দন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। দিস ইজ বিগ। দিস ইজ হিউজ। দিস ইজ হিস্টরি।
– ফেসবুক থেকে