কিরণ মোরে, ট্যালেন্টেড-টকেটিভ!

ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারে বড় অর্জন না থাকলেও উইকেটরক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মোরে। ৮০ দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের শুরুর দিকটা বিশ্ব ক্রিকেটে নি:সন্দেহে সেরা উইকেটকিপারদের একজন ছিলেন মোরে। রঙিন জার্সিতে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ থাকলেও সাদা পোশাকে ছিলেন বেশ উজ্জ্বল।

ক্রিজে তখন ব্যাট হাতে জাভেদ মিয়াঁদাদ। বল করলেন ক্ষুদে শচীন টেন্ডুলকার। জাভেদ বলটি মিস করলেন কিন্তু উইকেটের পেছন থেকে কিরণ মোরে এমনভাবে আবেদন করলেন যেনো বলটি জাভেদের ব্যাট স্পর্শ করে এসেছে৷ আম্পায়ার অবশ্য মোরের আবেদনে সাড়া দেননি। তবে, এমন কাণ্ডে বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন জাভেদ!

এরপর আরেক বলে রান আউটের সুযোগ আসে! কিন্তু ফিল্ডার উইকেটরক্ষকের কাছে বল দেওয়ার আগেই ক্রিজের ভিতরে চলে আসেন জাভেদ। উইকেটরক্ষক মোরে বল ধরেই স্টাম্প ভাঙার চেষ্টা করে, অনেকটা জাভেদকে লক্ষ্য করেই ছোট করে লাফ দেন। এরপরই জাভেদ স্টাম্পের সামনে ব্যাঙের মতো লাফ দিতে থাকেন!

কিরণ মোরে কিংবা জাভেদ মিঁয়াদাদের কথা আসলেই ৯২ এর বিশ্বকাপের সেই হাস্যকর কাণ্ডের কথা মনে পড়ে। বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই দলের প্রথমবারের দেখায় এমন কাণ্ড অবশ্য ম্যাচে বাড়তি উত্তেজনাও যোগ করেছিলো।

মোরের অবদান খোদ সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও কখনো ভুলবেন না। দুলীপ ট্রফির ফাইনালে ইস্ট জোনের হয়ে তখন উইকেটরক্ষক হিসেবে দীপ দাশ গুপ্তের খেলা কথা। অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিরও প্রথম পছন্দ ছিলো তিনি। অবশ্য সেই দলেই ছিলেন ধোনিও। ভারত তখন এমন একজন উইকেটরক্ষককে খুঁজছিলেন যে শেষদিকে দ্রুত কিছু রান তুলতে পারবে। আর কিরণ মোরের চোখে ছিলো এমন একজন যিনি এই কাজ সহজেই করতে পারবেন। হ্যাঁ! মহেন্দ্র সিং ধোনি।

ধোনিকে ইস্ট জোনের হয়ে ফাইনালে সুযোগ করে দিতে দশদিন ধরে সৌরভ ও দীপকে বুঝিয়েছিলেন মোরে।

অবশ্য সফলও হয়েছিলেন তিনি। আর ফাইনালে সুযোগ পেয়ে উইকেটকিপিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের সাথে ব্যাট হাতেও ফিফটি তুলে নেন ধোনি। এরপর বাকি কাজটা সৌরভ নিজেই সেরে ফেলেন। বোর্ডের কাছে ধোনিকেই দলে নেওয়ার প্রস্তাব জানান। পরবর্তীতে ধোনির ক্যারিয়ার ইতিহাসটা সবারই জানা। এই ধোনিকে দলে আনার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিলো সেই কিরণ মোরে’র।

কিরণ মোরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারও ছিলো বেশ সমৃদ্ধ। শুধু উইকেটকিপিং বিবেচনা করলেও তাঁর সময়ের সেরা উইকেটরক্ষকদের একজন ছিলেন তিনি। একসময় উইকেটকিপার হিসেবে ভারতের প্রথম পছন্দই ছিলেন মোরে। তাঁর অসাধারণ কিপিং দক্ষতাই পরবর্তীতে ক্যারিয়ারে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। বলতে গেলে কিপিং দক্ষতাই তাকে ক্যারিয়ারটা জিইয়ে রাখতে সাহায্য করেছিলো।

তখন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেলছিলেন মোরে। সেখান থেকে টাটা স্পোর্টস ক্লাবে কিছুসময় খেলেন তিনি। ওই ক্লাবে অভিষেক ম্যাচেই দেখা পান সেঞ্চুরির। এরপর ১৯৮০ সালে বারোদার হয়ে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন মোরে। উইকেটকিপিং স্কিল বাড়ানোর জন্য ১৯৮২ সালে মোরে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। সেখানে নর্থ ল্যাঙ্কাশায়ার লিগে কিছু সময় খেলেন তিনি। পরবর্তীতে আবারো ফিরে আসেন বারোদার হয়ে খেলতে।

৫ ম্যাচে ৫১ গড়ে ১৫৪ রানের সাথে উইকেটের পেছনে ১৫টি ক্যাচ ধরেন তিনি। সুযোগ পেয়ে যান ১৯৮২-৮৩ এর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সৈয়দ কিরমানির বদলি হিসেবে। তবে পুরো সিরিজেই অভিষেক হয়নি মোরের! কিরিমানিই ছিলেন উইকেটের পিছনে।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবশ্য তখনো ফিফটির দেখা পাননি মোরে। মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বরোদা। সেখান থেকে মোরের হার না মানা ১৫৩ রানে ৩০৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় বরোদা। তবে পরের আট ইনিংসে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন মোরে। পরবর্তীতে উত্তর প্রদেশের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া দশম উইকেট জুটির পথে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন মোরে।

বরোদার সংগ্রহ তখন ৯ উইকেটে ৩৩৮ রান। সেখান থেকে দশম উইকেট জুটিতে বাসুদেব প্যাটেলের সাথে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন মোরে। যা সেসময়ের সর্বোচ্চ এবং বর্তমানে রঞ্জি ট্রফিতে দশম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। মোরে অপরাজিত থাকেন ১৮১ রানে! তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসে বারোদা বড় জয় পায়।

ওই মৌসুমে দুই সেঞ্চুরি আর ১০ ম্যাচে ২৭ ডিসমিসালে পরবর্তী মৌসুমে জাতীয় দলে ওয়ানডেতে ডাক পান মোরে। ১৯৮৪ সালে ৫ ডিসেম্বর রঙিন জার্সিতে অভিষিক্ত হন মোরে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দলে থাকলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। সেই সাথে উইকেটের পেছনে করতে পারেননি কোনো ডিসমিসাল। এক সিরিজে খারাপ করায় পরের সিরিজেই বাদ পড়েন মোরে। এক বছরের জন্য দলে আর সুযোগ পাননি তিনি। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ডাক পান তিনি। উইকেটকিপিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে পুরো সিরিজেই নিজের জায়গা পাঁকা করেন মোরে।

পরের বছর ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ড সফরেও ডাক পান তিনি। প্রায় দেড় বছর দলের সাথে কাটানোর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক লর্ডসে টেস্ট অভিষিক্ত হন মোরে। অভিষেক টেস্টে নবম উইকেটে নেমে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সাথে উইকেটের পেছনেও ছিলেন দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে লর্ডসের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয় পায় ভারত। পরের টেস্টেও ধারাবাহিক ভাবে ভালো পারফরম করেন মোরে। ধীরে ধীরে ব্যাটিং পজিশনেও উন্নতি হয় তাঁর।

সিরিজের শেষ টেস্টে খোদ কপিল দেব তার আগে মোরেকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন! ২৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১০৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিলো ভারত। সেখানে মোরে অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে দেখিয়ে আজহারউদ্দিনের সাথে জুটি গড়ে ম্যাচে ড্র নিশ্চিত করেন। ওই সিরিজে ৫২ গড়ে ১৫৬ রানের পাশাপাশি ১৬ ক্যাচ লুফেন মোরে! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে ভারতের হয়ে যা ছিলো সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড। অবশ্য পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এই তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে নাম লেখান ধোনিও।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর! অবশ্য এর আগের বড় দুই স্কোরই ছিলো দেড়শো রানের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তখন দুই ফরম্যাটেই নিয়মিত মুখ ছিলেন মোরে। সেসময়ে দলে টিকে থাকতে উইকেটরক্ষক হিসেবে তাঁকে প্রতিযোগিতায় নামতে হয়েছিলো চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের সাথে। অবশ্য এই দৌড়ে জয় পেয়েছিলেন মোরেই। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সেসময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক হিসেবে।

১৯৮৭ এর বিশ্বকাপের মাদ্রাজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪১.৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ছিলো ৭ উইকেটে ১৭০। সেখানে থেকে শেষ ৫১ বলে কপিল দেবের সাথে ৮২ রানের জুটি গড়েন মোরে! কপিল ৫৮ রান করলেও ২৬ বলে ৪২ রানের এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোরে। তখন কমেন্ট্রি বক্সে থাকা রবি চতুর্বেদী বলে উঠলেন, ‘বাড়ে মিয়া তো বাড়ে মিয়া, ছোটে মিয়া সুবহানাল্লাহ।’

তবে, ছোটখাটো এই মানুষটা ‍উইকেটের পেছনে খুব সরব। ইএসপিএন ক্রিকইনফো ছোট করে তাঁর ব্যাপারে বলেছে – ‘ট্যালেন্টেড অ্যান্ড টকেটিভ।’

এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্টে আরেক কীর্তি গড়েন সাবেক এই উইকেটরক্ষক। মাদ্রাজে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অভিষিকে ১৬ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন নরেন্দ্র হিরানি। সেই সাথে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ ও ম্যাচে ছয় স্টাম্পিং করে এক টেস্টে ও ইনিংসে সর্বোচ্চ স্টাম্পিংয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন মোরে। এরপর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই টেস্ট ক্যারিয়ারে মেইডেন ফিফটির দেখা পান তিনি।

করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফলোয়ান এড়ানোর পথে ৫৮ রানের ইনিংসটিকে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস হিসেবে ঘোষণা দেন মোরে। পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের ৪০৯ রানের জবাবে ৮৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় ভারত! রবি শাস্ত্রীর ৪৫ ও কপিল দেবের ৫৫ রান মান রক্ষা করলেও ফলোয়ান এড়াতে ত্রানকর্তা রুপে হাজির হন মোরে। মোরের ৫৮ রানের ইনিংসেই ফলোয়ান এড়ায় ভারত। ওই সিরিজে ৬১ গড়ে ১২২ রান করেন মোরে।

১৯৮৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে আজহারউদ্দিনের ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পান মোরে। মোরে মনে করতেন একজন উইকেটকিপার ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে বেশ আইডিয়াল একজন। কারণ উইকেটকিপার উইকেটের পেছন থেকে সবটা ভালো করে দেখতে পারেন, বোলারের বোলিং ম্যুভমেন্ট সহ উইকেটের আচরণ বেশ ভালোভাবেই আঁচ করতে পারেন। সেই সাথে দলকে ওই অনুযায়ী গাইডও করতে পারবেন।

ওই ট্যুরে ব্যাট হাতে বেশ দুর্দান্ত পারফরম করেন মোরে। ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন নেপিয়ারে। তবে, পরের সিরিজেই করলেন চরম এক ভুল। ১৯৯০ সালে লর্ডসে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ে নামে ভারত। শুরুতেই মাইক আথারটনকে তুলে নেন কপিল দেব। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৬ রানে তখন ব্যাট করছিলেন গ্রাহাম গুচ। সঞ্জিব শর্মার আউটস্যুইঙ্গারে ব্যাটে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে কিরণ মোরের হাতে যায় বল!

কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দিলেন মোরে! এরপর লর্ডসের মাটিতে ৩৩৩ রানের ঐতিহাসিক এক ইনিংস খেলেন গুচ! প্রথম ইনিংসে ৩৩৩ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১২৩ রান। সে ম্যাচে ভারত পরাজিত হয় ২৪৭ রানে। মোরের এক মিসে ক্যারিয়ারে অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন গুচ। উইকেটরক্ষক হিসেবে বেশ নাম কামানো মোরের হাত থেকে ওই ক্যাচ পড়ে যাওয়াটা ছিলো যেনো অবিশ্বাস্য কিছু। ওই ক্যাচ মিসের কারণে পরবর্তীতে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন মোরে!

এরপর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্ট মিস করেন তিনি। তবে, মেলবোর্ন টেস্টে ফিরে অপরাজিত ৬৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন মোরে। পার্থে সিরিজের শেষ টেস্টেও বেশ ভালো ব্যাটিং করেন তিনি। পরের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ে থাকা দলের হাল ধরে ৫৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন মোরে। এটিই ছিলো মোরের খেলা সবশেষ ত্রিশোর্ধ্ব।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে পরের ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছয় টেস্টে বেশ বাজে পারফরম্যান্সের পর দল থেকে বাদ পড়লেন তিনি। তাঁর বদলি দলে সুযোগ পান তাঁরই বারোদার সতীর্থ নয়ন মঙ্গিয়া। এরপর আর কখনোই জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি মোরে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে বারোদার হয়ে বেশ কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যান তিনি। সেখানে ব্যাট হাতে অজস্র রান করলেও আর জাতীয় দলে ডাক পাননি।

৪৯ টেস্টে ২৬ গড়ে ১২৮৫ রান করেন মোরে। এই ফরম্যাটে করেছেন সাত ফিফটি। অপরদিকে, ৯৪ ওয়ানডেতে মাত্র ১৩ গড়ে ৫৬৩ রান করেন তিনি। রঙিন জার্সিতে দেখা পাননি কোনো ফিফটির। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ২৯৬ ম্যাচে ৬ হাজারেরও বেশি রান করেছেন মোরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছেন সাত সেঞ্চুরি।

অবসরের পর আইসিসি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের উইকেটকিপিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশ, কেনিয়া ও উগান্ডার হয়ে কাজ করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৩-০৬ প্রায় চার বছর জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গ্রেগ চ্যাপেলের কোচিংয়ের সময়ে চ্যাপেলের কথাতেই তিনি সৌরভকে দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন! যার কারণে আবারো সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন তিনি।

ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারে বড় অর্জন না থাকলেও উইকেটরক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মোরে। ৮০ দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের শুরুর দিকটা বিশ্ব ক্রিকেটে নি:সন্দেহে সেরা উইকেটকিপারদের একজন ছিলেন মোরে। রঙিন জার্সিতে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ থাকলেও সাদা পোশাকে ছিলেন বেশ উজ্জ্বল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link