ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে চলমান জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ানশিপে খেলতে পারছেন না তিনি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এই অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। বর্তমান লাহোরের নিজের বাসাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন হাফিজ।
আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র ১৭ দিন বাকি রয়েছে। এর আগে ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে তিনি ফিটনেস ফিরে পাবেন কিনা এটা নিয়েই রয়েছে শঙ্কা। লাহোরের স্থানীয় এক ডাক্তার জানিয়েছেন ডেঙ্গুর সংক্রমণ কাটিয়ে উঠে পুরোপুরি সুস্থ হতে সাধারণত এক মাসের মত সময় লাগে।
তিনি বলেন, ‘এটি ডেঙ্গু ভাইরাসের তীব্রতার উপর নির্ভর করবে। এটি এমন একটি রোগ যা একজন মানুষকে বেশ দুর্বল করে ফেলে। এবং প্লাটিলেট গুলি পুনরায় তৈরি করতে ও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগতে পারে।’
আগামী ১৪ অক্টোবর বিশ্বকাপ খেলে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্ভরযোগ্য এক সূত্র নিশ্চিত করেছে বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ হাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং তাঁর চিকিৎসা ও সুস্থতার উপর কড়া নজর রাখছে।
জাতীয় চ্যাম্পিনশিপের প্রথম পর্বে হাফিজ যখন রাওয়ালপিন্ডির টিম হোটেলে অবস্থান করছিলেন তখন খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ করেছিলেন। এরপর অবস্থার উন্নতি না হলে তিনি লাহোরে চলে যান এবং সেখানেই তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
চলতি মাসের দশ তারিখের ভিতর বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করার সময় নির্ধারণ করে দিলেও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আগামী মাসের দশ তারিখ পর্যন্ত সেই স্কোয়াড পরিবর্তন করার সুযোগ রেখেছে। প্রতিটা দলের স্কোয়াড ১৫ জনের এবং দলের সাথে ৮ জন কর্মকর্তা রাখার সুযোগ দিয়েছে আইসিসি।
১৫ জনের বেশি ক্রিকেটার স্কোয়াডে রাখতে হলে নিজেদের অর্থে রাখতে হবে বোর্ড গুলোকে। নির্দিস্ট সময়ে ডেঙ্গু কাটিয়ে হাফিজ সুস্থ হতে না পারলে তাকে নিয়ে পিসিবি কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটাও এখনো নিশ্চিত নয়। কিছু দিন আগে পিসিবির সাথেও একটা বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন হাফিজ।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) থেকে হাফিজকে দেশে ফিরতে বলেছিল পিসিবি। পিসিবির এই সিদ্ধান্তকে ভালো ভাবে নিতে পারেননি হাফিজ। তবে সিপিএল খেলার জন্য এক সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টি টেস্ট, ২১৪ টি ওয়ানডে এবং ১১৩ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। তাঁর সাম্প্রতিক ফরম ভালো না হলেও ২০১৯ সালের শুরু থেকে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফরমে ছিলেন হাফিজ।