প্যান্ডোরা পেপারস নয়, যেন এক প্যান্ডোরার বাক্স। আর সেই বাক্স থেকে উঠে আসছে নিত্য নতুন চমক। এবার সে কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিষ্ঠানের।
রাজস্থান রয়্যালসের মূল প্রতিষ্ঠান মাল্টিস্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং কেপিএইচ ড্রিম ক্রিকেট প্রাইভেট (কিংস ইলেভেন পাঞ্জব) এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্যান্ডোরা পেপারস কাণ্ডে নাম এসেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এবার উঠে এসেছে এই তথ্য।
ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)-এর প্রকাশিত প্যান্ডোরা পেপারসে অবৈধ ভাবে অর্থ লুকানো নিয়ে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যেখানে সাবেক ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার সহ বহু রাজনৈতিক নেতার নাম উঠে এসেছে। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০০ বড় বড় কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের পর্দা ফাঁস করেছে এই প্রতিবেদন। এবার এই তালিকায় নাম পাওয়া গেলো আইপিএলের দুই ফ্র্যাঞ্জাইজি দলেরও।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালিক পক্ষের গৌরব বর্মণ এবং ললিত মোদির মেয়ে করিমার স্বামী এই কাণ্ডে জড়িত আছেন বলে প্রকাশ হয়। অপরদিকে, ভারতীয় ব্যবসায়ী সুরেশ চেলারামের স্ত্রী রাজস্থানের শেয়ার হোল্ডার কবিতাও আছেন এই তালিকায়।
নথি অনুযায়ী গৌরব বর্মণ ২ মিলিয়ন ডলার ব্যান্ট্রি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কোম্পানিতে সরিয়েছেন। যা একটি বিভিআই কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। এবং জানা যায় গৌরব এই কোম্পানির একজন শেয়ার হোল্ডারও ছিলেন। ২০১০ সালে একবার এই অভিযোগ ওঠার পর বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) থেকে পাঞ্জাবকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সবকিছু যাচাই বাছাই শেষে কোর্টে ওই মামলায় জয় পায় পাঞ্জাব। এরপর তাদেরকে পুনরায় খেলার সুযোগ দেয় আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বর্মন সে কথাটাই বলেন বারবার।
অপরদিকে, নথি অনুযায়ী চেলারাম ট্রেসকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের একজন শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। চেলারাম ও গৌরব বর্মণরা গোপনে বড় অর্থ কর ফাঁকি দিয় বাইরে সরিয়েছেন এমন অভিযোগ আছে ভারতীয় গণমাধ্যমেও। ২০০৭ সালে প্রথম প্যান্ডোরা পেপারস কান্ড লাইমলাইটে আসে। রাজস্থান রয়্যাল ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালিক পক্ষ যোগসাজশে এমন করেছেন বলেও জানা যায়
সম্প্রতি রবিবার প্যান্ডোরা পেপারস ক্যালেঙ্কারির পর্দা ফাঁস করে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট (আইসিআইজে)। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা সহ বহু সেলিব্রিটিরা এরকম অর্থ গোপনের জড়িয়েছেন। দেশের কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বাইরের দেশে। এই তালিকায় শচীন টেন্ডুলকার, তার স্ত্রী ও তার শশুড়েরও নাম উঠে এসেছে। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ অনেকের নাম এসেছে বলে জানা যায়।