চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইয়ের বিদায়

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৪২ রানে হারিয়ে পয়েন্টস টেবিলের পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অপরদিকে, শ্বাসরুদ্ধকর শেষ ওভারের শেষ বলে নাটকীয় জয়ে দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ১১ অক্টোবর, সোমবার এলিমিনেটরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে ব্যাঙ্গালুরু।

২৩৬ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৬৪ রান করে হায়দ্রাবাদ। আর এতেই প্লে অফের আশা শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। জেসন রয় ২১ বলে ৩৪ ও অভিষেক শর্মার ১৬ বলে ৩৩ রানের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় হায়দ্রাবাদ। তবে একপ্রান্তে অধিনায়ক মানিশ পান্ডের ব্যাটে ভীত গড়ে তারা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে একপ্রান্ত ফিফটি তুলে নিলেও জয় থেকে ছিটকে যায় দল।

একপ্রান্তে পান্ডে রান তুললেও আরেক প্রান্তে বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৩ রান করে হায়দ্রাবাদ। ৪২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোহিত শর্মার দল। হায়দ্রাবাদের পক্ষে মানিষ পান্ডে সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। মুম্বাইয়ের পক্ষে জিমি নিশাম ২৮ রানে নেন ২ উইকেট।

এর আগে আবুধাবিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে মুম্বাই। ইশান কিষানের ১৬ বলে ফিফটিতে পাওয়ারপ্লেতেই ৮০ রান তুলে মুম্বাই। দলীয় ৮০ রানে রোহিত শর্মা ফিরলেও একপ্রান্তে তাণ্ডব চালান ইশান। হার্দিক পান্ডিয়া, কায়রেন পোলার্ডরা অবশ্য এদিন ছিলেন ব্যর্থ। ৩২ বলে ৪ ছক্কা ও ১১ চারে ইশান কিষান আউট হলে দলের হাল ধরেন সুরিয়াকুমার যাদব। উইকেট পড়লেও একপ্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন সুরিয়া।

একপ্রান্তে বাকিরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও সুরিয়াকুমারের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০০ পার করে মুম্বাই। শেষ ওভারে ৪০ বলে ৮২ রানে সুরিয়া আউট হলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৪ ওভারে ৫২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন জেসন হোল্ডার।

অপরদিকে আরেক ম্যাচে, টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে শিখর ধাওয়ান ও পৃথ্বি শ এর ব্যাটে দারুন সূচনা করে দিল্লি ক্যাপিটালস। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮৮ রান! শ্রীকার ৩১ বলে ৪৮ ও ধাওয়ান ৩৫ বলে ৪৩ রানে ফিরলে রানের চাকা কিছুটা ধীর হয়ে যায়। অধিনায়ক ঋষাভ পান্তও ফেরেন দ্রুতই।

তবে শেষ দিকে হেটমায়ারের ২২ বলে ২৯ ও শ্রেয়াস আইয়ারের ১৮ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৪ রান করে দিল্লি। ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে মোহাম্মদ সিরাজ ৪ ওভারে ২৫ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।

জবাবে লক্ষ্যমাত্র তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দলীয় ৬ রানে দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাদ্দিকালকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে ব্যাঙ্গালুরু। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৯ রান করতেই দলীয় ৫৫ রানে ব্যক্তিগত ২৬ রানে ফেরেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

১০ ওভার শেষে দলীয় রান ছিল ৩ উইকেটে ৬১! শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ১০৪ রান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে তরুণ শ্রীকার ভরত ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১১১ রানের জুটিতে শেষ বলে ৭ উইকেটের জয় পায় ব্যাঙ্গালুরু।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ১৫ রানের। সেখান থেকে শেষ বলে দরকার ৬ রান। পরের বলে আভেষ খান ওয়াইড দেওয়ায় শেষ বলে তখন রান দরকার ৫! ফুলটসকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে ছয় মেরে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শ্রীকার ৫২ বলে ৭৮ এবং ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত থাকেন ৩৩ বলে ৫১ রানে।  দিল্লীর পক্ষে আনরিচ নর্কে ২৪ রানে নেন ২ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link