বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য আজকের ম্যাচ খুব একটা সুখকর ছিল না। তবে এরমাঝেই অদ্ভুত এক কান্ড করলেন এক দর্শক। পাকিস্তান ইনিংসের ১৩ তম ওভারের খেলা তখন সবেমাত্র শেষ হয়েছে। মুস্তাফিজ ১৪ তম ওভারের বোলিং শুরু করবেন। তখনই নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাকি দিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। লুটিয়ে পড়েন মুস্তাফিজের পায়ের সামনে।
নর্দান গ্যালারির দুই তালা থেকে লাফিয়ে নিচে নামলেন সেই দর্শক। তারপর প্রায় ১০ ফিট উচ্চতার বেড়া তার টপকে একেবারে মাঠে ঢুকে পড়লেন। হুমড়ি খেয়ে পড়লেন মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে। কোভিড ১৯-এর কারণে বায়ো বাবলের মধ্যে চলমান ম্যাচে দর্শকের এমন উপস্থিতিই এখন এই ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
জৈব সুরক্ষা বলয় বা বায়ো বাবলের মধ্যে দর্শকের মাঠে ঢুকে পড়া নিয়ে তৈরি হতে পারে জটিলতা। সেই দর্শক মুস্তাফিজের কাছে আসার পর মুস্তাফিজকে মাঠ থেকে সড়িয়ে আনা হয়। ১৩ তম ওভার শেষে এই ঘটনা ঘটলে ওভারের মাত্র ১ বল করেই মাঠ ছাড়েন মুস্তাফিজ। তবে পরে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একপাশে ব্যাথা অনুভব করছিলেন ফিজ। সেজন্যই তাঁকে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে পরের ম্যাচ খেলার মত ফিট এই পেসার।
তবে দর্শকের এই কাণ্ড এবার বেশ ভুগাতে পারে দুই দলকেই। কেননা করোনার কারণে ক্রিকেটারদের বায়োবাবল নিয়ে এখন বেশ কড়াকড়ি। ফলে বায়োবাবলের বাইরের একজন মাঠে ঢুকে পড়ায় আইসিসি এখন কি করবে সেটাই জানার অপেক্ষা।
এই বিষয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত তারা ঝুঁকির কিছু দেখছেন না। তবে সতর্কতা হিসেবে করা হবে কোভিড ১৯ পরীক্ষা। আমরা মনে করছি না এতে বড় কোন ঝুঁকি আছে। কারণ এত বেশি ক্লোজ কন্টাক হয়নি। যেহেতু গ্যালারিতে আসা দর্শকরা সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, এবং ঘটনাটা ওপেন এয়ার হয়েছে কাজেই সেরকম ঝুঁকি নেই। তবে যেহেতু একটা ঘটনা ঘটেছে আমি যতটুকু বুঝতে পারছি সবারই একটা কোভিড ১৯ পরীক্ষা করতে হবে।’
এছাড়া আইসিসি থেকে কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে কিনা সে ব্যাপারে এই চিকিৎসক বলেন, ‘কোভিড প্রোটোকল ম্যানেজার আছে, আইসিসির লোক আছে। তারা মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন এর বাইরে কিছু করা লাগবে কিনা।’
তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন ঘটনা এবারই অবশ্য প্রথম না। এর আগে মাশরাফির কাছেও গ্যালারি থেকে ছুটে এসেছিলেন এক দর্শক। এরপর চট্টগ্রামে সাকিব আল হাসান, সিলেটে বাঁধা টপকে মুশফিকুর রহিমের সামনে এসে পড়েছিলেন এক ভক্ত। আজ মুস্তাফিজের পায়ের সামনে এসে লুটিয়ে পড়লেন আরেকজন। তবে এবার বায়োবাবলের কারণে জল ঘোলা হচ্ছে বেশ।