বিশ্বকাপ পর্যন্ত রিয়াদই অধিনায়ক

বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পর এরকমই একটা ধারণা ছড়িয়ে পড়েছিলো যে, পাকিস্তান সিরিজের পর আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সেই ধারণা মতোই গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জনের নাম শোনা যাচ্ছে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে। কেউ বলছেন নুরুল হাসান সোহানের কথা। কেউ বলছেন নাজমুল হোসেন শান্তর কথা। আবার তাসকিন আহমেদের নামও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বোর্ডের একটি সূত্র আজ পরিষ্কার করে বললো, আপাতত রিয়াদের কাছ থেকে সরার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁদের।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচই হারলেও রিয়াদের অধিনায়কত্বে খুব সমস্যা দেখছে না বোর্ড। এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, ‘রিয়াদ খুব খারাপ ক্যাপ্টেন্সি করেছে, তা আমাদের মনে হচ্ছে না। আর দলটা তো অনেকটাই এখন তরুণ একটা দল। এই দলে একজন সিনিয়র কারো থাকা দরকার। সে হিসেবে রিয়াদকে অধিনায়ক রাখাটাই স্বাভাবিক।’

এমনকি এই কর্মকর্তা বলছেন, নিজেরা সরে না দাড়ালে ‘সিনিয়র হটাও’ জাতীয় কিছু করারও তাদের ইচ্ছে নেই। এমন কিছুও তারা ভাবছেন না। পরিষ্কার করে তিনি বলছিলেন, ‘দেখুন, আমরা কিন্তু তামিমকে টি-টোয়েন্টিতেও রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে নিজে সরে দাড়িয়েছে। এরপর রিয়াদকে টেস্ট থেকে আমরা বাদ দেইনি। সে হুট করে অবসর নিয়ে ফেলেছে। মুশফিককে এই সিরিজে একটু বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তার টেস্টের কথা মাথায় রেখে। সামনে তার অনেক খেলা। আর সাকিব তো আছেই। ফলে কোনো সিনিয়রকে আমরা বলছি না যে, তুমি সরে দাড়াও। পারফরম করতে পারলে তারা থাকবে। আমরা তাঁদের অভিজ্ঞতার মূল্য বুঝি।’

সেই মূল্য দিতেই রিয়াদকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলছিলেন, ‘হুট করে নিজে থেকে সরে না দাড়ালে রিয়াদকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর পরিকল্পনা নেই। সামনের বিশ্বকাপ আর এক বছরের মধ্যেই। ফলে এই সময় নতুন একজন অধিনায়ক করলে তার মানিয়ে নিতেও সময় লাগবে।’

নতুন যে তিন জনের নাম আসছে, তাদের ব্যাপারেও এই কর্মকর্তা খুব নিশ্চিত নন। তিনি বলছিলেন, ‘রিয়াদ হুট করে সরে গেলে নতুন অধিনায়ক ভাবতেই হবে। সেটা এই তরুণদের মধ্যে কেউ হরেব, তা কিন্তু নিশ্চিত না। শান্ত ও সোহান ভালো অধিনায়ক। সোহানের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো। কিন্তু ওদের তো আগে জায়গাটা কনফার্ম করতে হবে। সেটা তো এখনও ওরা নিশ্চিত করতে পারেনি। আর তাসকিনের তো ওইরকম অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড নেই।’

সবকিছু মিলিয়ে এই কর্মকর্তা মনে করেন, বিশ্বকাপের খারাপ ফলের জেরে কিছু পরিবর্তন আসবে, এটা সত্যি। কিন্তু খুব নাটকীয় কিছু করার ইচ্ছে এখন বোর্ডের নেই। অন্তত আগামী বছর বিশ্বকাপ পর্যন্ত তারা একটু দেখে শুনে এগোতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link