জন্মটা ১৬ ডিসেম্বর তারিখে। নিজের নাম বদলে তাই রেখেছেন-বিজয়।
বাংলাদেশের প্রতি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি তার ভালোবাসা, নিবেদন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এমনকি পরিসংখ্যান দেখলে পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তোলা কঠিন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে গড় ৩০-এর ওপরে।
ওয়ানডেতে তিনটি সেঞ্চুরি আছে। টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ম্যাচেও আছে ৪৭ রানের ইনিংস। তারপরও তিনি জাতীয় দলে নেই চার বছরের মত সময় ধরে। সর্বশেষ আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১৫ সালে। পারফরম্যান্স সমস্যা না। তার সমস্যা নিশ্চয়ই অন্য কোথাও।
সেই সমস্যার অন্যতম বলে অভিযোগ ছিলো, দলের জন্য না খেলা।
সেই অভিযোগটা সত্যিই কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন কি না, সেটা সময় বলবে। তবে আপাতত চলতি বিপিএলে এনামুল হক বিজয় নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন। অনেকটা পুনরুত্থান ঘটছে জাতীয় দলের এক সময়ের এই নিয়মিত ওপেনারের।
এবার বিপিএল শুরুর আগে থেকে নিজে বারবার বলছিলেন, তার সময় হয়েছে আবার ঘুরে দাড়ানোর। পারফরম করতে চান। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৩ রান করলেও এরপর থেকে সত্যিই ঘুরে দাড়িয়েছেন এই কুষ্টিয়ার তরুন। দ্বিতীয় ম্যাচেই খেলেছেন ৪৫ রানের ইনিংস। এরপর ৪৭ বলে ৭৮ এবং ৩৩ বলে ৪৭ রানের দুটো ইনিংস আছে তার। আর আজ সবশেষ ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন।
২৪৮ রান নিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি লিগের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। স্ট্রাইক রেটও আছে ১২০-এর ওপরে।
এই স্ট্রাইক রেটের জন্যই সবশেষ আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪৭ রান করার পরও বাদ পড়েছিলেন। ৫১ বলে ৪৭ রান করেছিলেন সেই ম্যাচে। অন্তত এটা বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এখনও আছেন।
সবচেয়ে পরিবর্তনটা লক্ষ্য করা গেছে বিজয়ের রান করার ভঙ্গিতে। প্রথম পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর জন্য ওপেনারদের যেরকম এপ্রোচ থাকা উচিত, সেটা দেখাতে পেরেছেন। বাজে বলে বাউন্ডারি আদায় করে নেওয়া বা রানের জন্য পুশ করার ব্যাপারটা ছিলো। ছিলো দ্রুত প্রান্ত বদল করে মরীয়া রান করে নেওয়ার চেষ্টা।
দল হিসেবে সিলেট কিছুই করতে পারেনি। সবার আগে সেরা চারের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে। কিন্তু এনামুল হক বিজয় বার্তা দিলেন যে, তিনি আছেন। তিনি ফিরে আসছেন।
বিজয়ের এই ফেরাটা সত্যি হলে সেটা বাংলাদেশ দলের জন্যই শুভ খবর হবে। ওপেনার নিয়ে সংকটে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ হয়তো মুনিম শাহরিয়ার, বিজয়দের দিকে চেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে।