Oh! Steven Smith! Take a bow. Back to back 62 Balls Hundred for Smith. What an achievement! ৬৪ বলে ১০৪ রান করে আউট হলেন!
সেঞ্চুরির আগের ওভারে ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহর মতো বোলারকে যেভাবে খেললেন সেটা একজন টপ ক্লাস বোলারের প্রতি একজন মাস্টার ক্লাস ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দক্ষতা, রানের ক্ষুধা প্রদর্শনের আদর্শ উদাহরণ!
প্রথম বলে স্লোয়ারটাকে স্কয়ার ড্রাইভ করে টাইমিংয়ের উপর চার। পরে একদম সিল্কি টাচে লেট কাটে স্লিপ আর শর্ট থার্ড ম্যানের মাঝখান দিয়ে বলটাকে বের করে দিলেন! কী এফোর্টলেস, পারফেক্ট প্লেসিং!
পরের দুইটা বল ডট। কিন্তু প্রত্যেকটা ডটে চোখেমুখে হতাশা দেখা যাচ্ছে। আগের ওভারেও একটা ডট বল হলেই লাফিয়ে উঠছেন সিঙ্গেলস কেন বের করতে পারলো না। বলটা কেন সোজা ফিল্ডারের হাতে গেলো।
৪৭ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় ডট বল হওয়ায় নিজের উপর স্মিথ যে রাগ দেখালেন, সেটা দেখলে বোঝা যায় এই রানের ক্ষুধা, তাড়না কোথা থেকে আসে! এতোগুলো রান কীভাবে হয়! স্ট্রাইক রোটেটিংকে তাঁরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
বুমরাহর ওভারে ফেরত আসি। দুইটা বল ডট দিয়ে চোখেমুখে হতাশা দেখালেও পাগল হয়ে গেলেন না, পরের বলটা অফ স্ট্যাম্পের বাইরে। কিন্তু তিনি আগে থেকে জায়গা বানিয়ে রেখেছেন। এবারও দেরিতে খেললেন। ফাইন লেগে ফিল্ডার দাঁড়িয়ে আছে। তবু নিখুঁত প্লেসমেন্ট। কব্জির মোচড়ে বলটাকে অল্প একটু জায়গার মধ্যে বের দেবার এই সৌন্দর্য যে স্টিভেন স্মিথের ব্যাটেও দেখা যাবে, তা কে জানতো!
আরো পড়ুন
- অন্য এক ‘স্টিভ স্মিথ’
- গর্ব সব টুটিয়া, মুর্ছি পড়ে লুটিয়া
- সাকিব বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ‘নৈতিকতা’
- বীরুর ইটের জবাব পাটকেলে
- সে গিয়েছে সবার আগে সরে
ওদিকে কমেন্ট্রি বক্সে শেন ওয়ার্ন পরপর দুই ম্যাচে ৬২ বলে সেঞ্চুরি বা ৬১ বলে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন। লাবুশেন দুই রান নিতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় ৬১ বলে হলো না, ৬২-তে গিয়ে হল। পরপর দুই ম্যাচে এমন ইনিংস কার আছে!
কপিবুক টেকনিকের উদাহরণের অনেক ব্যাটসম্যান পৃথিবীতে আছেন। স্টিভেন স্মিথ নিজে জায়গা বানিয়ে পুরো ক্রিজটাকে ব্যবহার করে নাচতে নাচতে ব্যাটিং করে নিজেই আরেকটা টেকনিক বুক বানিয়ে যাচ্ছেন!
স্টিভেন স্মিথ, আপনার জন্য টুপি খোলা সম্মান!