হঠাৎ আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ কেন?

হঠাৎ খবর, সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল। সেখানে হবে ক্যাম্প। এছড়াও স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের সিরিজ। প্রশ্ন হল, হঠাৎ তড়িঘড়ি করে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন কেন? তাও আবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে?

সরাসরি বিষয়টা আসলে সিরিজ খেলতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া নয়। সামনে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কঠিন সূচি। প্রথমেই ত্রিদেশীয় সিরিজ। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে স্বাগতিকদের সাথে পাকিস্তানও থাকবে। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

এর আগে এই মূহুর্তে নিয়মিত অনুশীলন খুব জরুরী। এমন সময় দেশের আবহাওয়া অনুশীলনের জন্য একদমই উপযুক্ত নয়। শরৎকালের ক্রমাগত বর্ষণ অনুশীলন বিঘ্নিত করছে। ফলে, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের। তিনি খেলোয়াড়দের একদমই পরখ করতে পারছেন না। দলটাকে চিনে নিতে এটা তাঁর জন্য জরুরী।

ফলে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ক্যাম্প করার জন্য জায়গা খুঁজছিল। আর ‍বৃষ্টির এই সময়টা সামনে আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। আরব আমিরাতের সাথেও কথা বলেছিল বিসিবি। ফলে, সেখানে ক্যাম্প হচ্ছে। আর দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা বোনাস। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে, আগামী ২৫ ও ২৭  সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে কন্ডিশনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল – এখানে আবহাওয়ার কারণে খুব একটা সুযোগ আমরা পাইনি প্র্যাকটিসের। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করেই এটা টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা, সে অনুযায়ী আমাদের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। কন্ডিশনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ম্যাচ পরিস্থিতি এবং অন্যান্য যে অনুশীলন সুবিধা দুবাই স্পোর্টস সিটিতে আছে, সেগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারব।

টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা সাজানোর জন্যও এই ক্যাম্প সাহায্য করবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাহী, ‘শুধু যে ওখানকার সুযোগ-সুবিধার জন্যই যাওয়া হচ্ছে, তা নয়। আরও কিছু পরিকল্পনা তো আছে। সব ব্যাপারগুলো ওভাবে সামনে না এনে আমাদের ফোকাস থাকবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দলকে পুরোপুরি তৈরি করা।’

ক্যাম্প হবে চার-পাঁচ দিনের। ২১ বা ২২ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বে সাকিব আল হাসানের দল। বিশ্বকাপের দলের সাথে সেখানে স্ট্যান্ডবাই দলের সদস্যরাও থাকছেন। বাংলাদেশ অনুশীলন করবে দুবাইয়ের স্পোর্টস সিটিতে। ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবে দল। দেশে ফিরে অবশ্য দম ফেলারও সময় নেই। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে দুই অক্টোবর ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছাবে বাংলাদেশ দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link