মেসি, বার্সা এবং ভবিষ্যৎ

২০২০ শেষ হতে আর বাকি কিছুদিন। এই ঘটনা-দুর্ঘট্ বছরে ফুটবল অঙ্গন কে সবথেকে নাড়া দিয়েছেন অবশ্যই দুজন আর্জেন্টাইন। একজনকে আর্জেন্টিনা ফুটবলের অঘোষিত গড ফাদার ম্যারাডোনা অন্যজন এলিয়েন মেসি।ম্যারাডোনার প্রয়াণ তো ফুটবল অঙ্গন ছাপিয়ে পুরো বিশ্বেই আলোচিত এক ঘটনা অন্যদিকে মেসি আলোচনায় এসছিলেন এবং পুরো ফুটবল অঙ্গন কে নাড়া দিয়েছিলেন বার্সা ছেড়ে যাবার ঘোষণা দিয়ে।

একটা বড় সময় জুড়ে সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছিলেন মেসি কি বার্সা ছাড়ছেন, ছাড়লে তাঁর গন্তব্য কোথায় নাকি মেসির কারণে বার্সার সভাপতি দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত বার্তেম্যু পদত্যাগ করছেন?মেসি এবং বার্সা সমার্থক শব্দ মনে করা অনেকের কাছেই মেসির বার্সা ছেড়ে যাওয়া মনে হচ্ছিল এক অসম্ভব ব্যাপার, অবিশ্বাস্য তো বটেই। প্রায় মাস খানেক জুড়ে নানা উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে গোটা ফুটবল বিশ্বকে।

শেষতক রিলিজ ক্লজের মারপ্যাচ যখন আদালতে মীমাংসা ছাড়া সম্ভবপর মনে হচ্ছিল না ঠিক তখন মেসি এক ভিডিও সাক্ষাতকারে তাঁর পরিবারসম এই ক্লাবকে অন্তত কোর্টে নিতে নারাজ ঘোষণা করেন। থেকে যেতে চান এই সিজন টা। নতুন কোচের অধীনে বার্সার শুরু হওয়া ট্রেনিং এ যোগ দেন মেসি। আবার আরেক সিজন বার্সার আর্ম ব্যান্ড লাগে মেসির বাহুতে।বার্সা সমর্থকদের জন্য যা ছিল আপাত স্বস্তি।

কিন্তু সেই স্বস্তি ঠিক কতদিনের জন্য?

কোম্যান এসেই চাইলেন নিজের মত করে দল গড়বেন। দলে অপাংক্তেয় ও প্রায় বুড়িয়ে যাওয়াদের রাস্তা দেখিয়ে দিলেন। সেই দলে ছিল বার্সার নাম্বার নাইন সুয়ারেজ। অনেকদিন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না। লিগে গোল পাচ্ছিলেন, অকেশনালি পাচ্ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও। কিন্তু সেটুকু জ্বলে ওঠা বার্সার মত ক্লাবের জন্য দরকার সেটা কতটুকুই বা পারছিলেন?ফিটনেস হারিয়েছেন, স্ট্র্যাটেজিক্যালি তার পারফরম্যান্স দলের এটাক বিল্ড আপ কে স্লো করে দিচ্ছিল। নিশ্চিত সহজ সুযোগ মিস করছিলেন যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল তাঁর ফিটনেসে ঘাটতি আছে। দল থেকে কোম্যান ছেটে ফেলেছিলেন আর্থুরো ভিদাল, রাকিটিচ দেরও। তাদেরকে দিয়ে মাঝমাঠ পোষাচ্ছিল না। অবশ্য দলে না পোষানো খেলোয়াড় এরাই নন। পিকে,বুস্কেটস,আলবা দের অবস্থান নিয়েও সমর্থকদের একটা বড় অংশ খুশি না। প্রতি মৌসুমে এদের পারফরম্যান্স দলের জন্য বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছিল স্পষ্টভাবে।

তবে বার্সা থেকে রাকিটিচ, ভিদাল, সুয়ারেজ দের ছাটাই কিন্তু শুধু পারফম্যান্সের কারণেই না। বার্সার আরও মারাত্মক রকমের আঘাতটা অর্থনৈতিক। ইউরোপের ক্লাবগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি খেলোয়াড়দের বেতন দেয়া ক্লাবটির নাম বার্সেলোনা ( ৯.৩৭ মিলিয়ন ইউরো গড়ে)। এ বছরের নভেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী বার্সেলোনা কে প্রায় ১ বিলিয়ন সমান অর্থের বেতন কমাতে হবে তাদের আর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্য। কিছুদিন আগেও ক্লাবের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট কার্লোস টুস্কেটস প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো অর্থ সাশ্রয়ের বাধ্যবাধকতার ঘোষণা দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমগুলোতে। কোম্যান আসার দু’মাসের মধ্যেই তাঁর বেতন কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর বিষয়টা তাদের হাতেই আপাত ছেড়ে দেয়া হলেও সেটা শেষ অবধি বাধ্যবাধকতায় যে পরিণত হবে না তা বলা যাচ্ছে না।

এর আগের প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউয়ের বিরুদ্ধ অভিযোগ এনে ক্লাব সোসিয়েটস রা অনাস্থা জ্ঞাপন করায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে এর পিছনে মূল শক্তি আর মোটিভেশন হিসেবে দেখেছেন মেসির সেই ভিডিও বার্তাকে। প্রতিবেদন এসেছে বার্তেমেউ গং রা প্রচুর পরিমাণে মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত। যার অধিকাংশই করেছেন ব্রাজিলে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ টি টাকা অবৈধ পাচারের জন্য কুখ্যাত। যে খেলোয়াড় যে দামের হয় না একের পর এক সেখানেই ইনভেস্ট করেছেন। ফলস্বরূপ বার্সার ভাণ্ডার নি:শেষ করেছেন অথচ কোন মান সম্পন্ন খেলোয়াড় পায় নি বার্সেলোনা। আপনি বার্সা সমর্থক হয়ে থাকলে লক্ষ্য করবেন নেইমার ছাড়া খোদ ব্রাজিলিয়ান লীগ থেকে উঠে আসা কোন মান সম্পন্ন খেলোয়াড়কে গত ১০ বছরে খেলতে দেখেছেন বার্সার শার্টে?

নেইমারকে নিয়েও আরেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আছে বার্সার জন্য। নেইমার কেন বার্সেলোনা ছেড়েছিল তাঁর পিছনে খেলোয়াড়ি কারণ কি একমাত্র নাকি এতেও আর্থিক বিষয় জড়িত তাও বারবার সামনে চলে এসেছে। মেসির পাদপ্রদীপ ছেড়ে গিয়ে নিজেকে আরও মেলে ধরার প্রত্যয়ে রেকর্ড পরিমাণ ফি তে পিএসজি তে পাড়ি জমানোর পরপর ই নেইমারের সম্বিত ফেরে।বারবার ফিরতে চেয়েছেন বার্সেলোনায়।মেসি-পিকেরাও তাকে চাইছিলেন বারবার।কিন্তু বার্তেম্যুর আন্তরিকতায় ঘাটতি ছিল, পর্যাপ্ত দক্ষতা দেখাতে পারেন নি স্পোর্টিং ডিরেক্টর সাবেক বার্সা লিজেন্ড এরিক আবিদাল।

মেসি তাঁর ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করে বলেছিলেন বার্সাতে তিনি কোন স্পোর্টিং প্রোজেক্ট দেখতে পাচ্ছেন না যেটা অনেক বছর ধরেই অনুপস্থিত। গত বছর লীগের মাঝপথে ভালভার্দেকে কোচ হতে অপসারণের পর আবিদাল এর সমালোচনা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট ও দিয়েছিলেন মেসি। তাঁর কাছে বার্ত্যেম্যু আর আবিদালের নেতৃত্বে থাকা বার্সেলোনা কে বরাবর ই অরক্ষিত মনে হয়েছে। বারবার এই নিয়ে আলোচনা করেও মিথ্যা আশ্বাস ছাড়া কিছু পান নি।যার ফলশ্রুতিতে প্রতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে খালি হাতে ফেরা, গত বছর লীগের শীর্ষস্থানে বসে কোচ কে সরিয়ে আরও লেজে গোবর পাকিয়ে লো-মিড টেবিল কোচ কে বার্সায় বসিয়ে সব শিরোপা হারানো-এসব কিছু একে একে ঘটেছে।

এ সিজনের শুরুটাও হয়েছে যাচ্ছেতাইভাবে। লিগে কবে বার্সেলোনা প্রথম ৯ ম্যাচ থেকে ১৩ পয়েন্ট হারিয়েছে সেটা বের করতে উইকি র সাহায্য নিতে হবে এই সময়ের সবথেকে ডাই হার্ড বার্সা ফ্যান কেও। খেলায় ছন্ন ছাড়া অবস্থা, ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হার, অপনেন্টের মাঠে দুর্বোধ্য লাগা পারফরম্যান্স সব মিলে বার্সা এখনও তাদের লোকাল লিগে ব্যাকফুটে।

ক্লাব এর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ পারফরম্যান্স যদিও এখনো স্ট্যাবল এবং বেশ ভালো। তবে আসল অবস্থা বোঝা যাবে নক আউট রাউন্ডে গিয়ে। এছাড়া এখনো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সমেত জুভেন্টাস কে মোকাবেলা করাও বাকি বার্সার।

ডিফেন্স নিয়ে বার্সা স্মরণকালে এতো বেকায়দায় কখনো পড়েছে বলে মনে হয় না। সেন্টার ব্যাক কাউকে কেনা হয় নি, আরাউহোর পর পিকে’র ইনজুরিতে লা মাসিয়ার মিংগেসা সামলাচ্ছেন রক্ষণ, সাথে বয়সে অভিজ্ঞ লেংলে’র পারফরম্যান্স নিয়ে গত সিজন থেকেই সমালোচনা চলছিল। কেনা হয় নি কোন লেফট ব্যাককে। আলবা’র আগের সেই গতি বা ধার কিছুই নেই, তার ব্যাক আপ হিসেবে জুনিওর ফিরপো আরও হতাশা।

দীর্ঘদিনের জন্য ইনজুরিতে রাইট ব্যাক রবার্তো। এখন এই মৌসুমে নতুন আসা ডেস্ট কোন কারণে ইঞ্জুরিতে বা সাসপেনশনে পড়লে এই পজিশনেও বি টিমের কাউকে নিয়ে নামা ছাড়া গতি নেই। বেশ ক’টি ম্যাচে রক্ষণের দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে ফ্র‍্যাংকি ডি ইয়াং কেও। কিন্তু এভাবে জোড়াতালি দিয়ে কতদূর যেতে পারবে বার্সা? পরপর দু সিজন কাটাবে ট্রফি ছাড়া? নতুন কাউকে কেনার মতন অবস্থাতেও নেই ক্লাবটি।

এর সাথে সাথে মেসির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও নেমেছে বিপর্যয়। প্রথম ৯ ম্যাচের ৮ টি তে শুরু করে তাঁর গোল সংখ্যা মাত্র ৪। তাঁর দুটি আবার পেনাল্টি তে। গোল বা অ্যাসিস্ট পান নি রিয়াল, সেভিয়া বা এথলেটিকো র বিপক্ষে।বারবার বল হারিয়ে ফেলা, মিস পাস কিংবা ফ্রি কিকের হতশ্রী অবস্থা ইঙ্গিত দেয় কোথায় যেন সূতা কেটে গেছে বা যাচ্ছে।

ওদিকে গণমাধ্যম গুলোও একের পর এক মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন করে মেসিকে তুলছে বিষিয়ে। এই কিছুদিন আগে গ্রিজম্যানের চাচা বলেছেন মেসি তাঁর ভাতিজার বার্সার যোগদান কে মোটেই ভালভাবে নেয়নি। যদিও পরে গ্রিজম্যান জানান তার এই চাচার সাথে আদতে তার কোন কথাবার্তা তো নেইই বরং বেশ আনন্দেই আছেন বার্সায়।

হতাশ ও ক্লান্ত মেসি কে এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মেসির উত্তর ছিল আমি ক্লাবের সব রকম সমস্যার কারণ হতে হতে ক্লান্ত। আসলেই তো, কোচ পরিবর্তন, কে খেলবে কে খেলবে না সেই বিষয় নির্ধারণে মেসির হাত থাকে -এরকম অসংখ্য ভিত্তিহীন অভিযোগ থাকে মেসির বিরুদ্ধে।

গ্রীজম্যানকে খোদ দলে নেয়া নিয়েই বিতর্ক,মেসির পজিশনে খেলেন, তাকে খেলাতে মেসি জায়গা ছাড়ছেন না – এরকম কথা চাউর ছিল। কোম্যান বার্সার ৪-৩-৩ থেকে সরে এসে কিছুদিন খেলালেন ৪-২-৩-১ এ। মেসি সরে আসলেন ফলস নাইনে। দেখা গেলো দুজনেই গোলের খরায় কাটাচ্ছেন।

অথচ এই মানুষটিই ক্লাবকে সবথেকে বেশি দিয়েছেন এখন পর্যন্ত। সুয়ারেজ কে যেভাবে চলে যেতে বলা হয়েছে সেটা নিয়ে হয়ত খুশি ছিলেন না।কিন্তু বার্সার জন্য একটা উইনিং স্পোর্টিং প্রজেক্টের চাওয়া তাঁর অনেক আগে থেকে ছিল। বার্সার খেলার ধরণ, কী ধরণের অস্ত্র বার্সার তূনে দরকার সেটা তাঁর থেকে কে বুঝতে পারে ভালোভাবে? অথচ যখন যেটা দরকার সেটা না করে সাবেক ক্লাব প্রেসিডেন্ট খরচ করেছেন ভিন্ন খাতে, তাতে ক্লাবের পারফরম্যান্স বা অর্থনীতি দুটোই পড়েছে খাদে। মেসির এই দুষ্ট চক্র থেকে মুক্তি চেয়েই চাইছিলেন ক্লাব থেকে সরে যেতে।

২০২০-২১ মৌসুমে যেহেতু যেতে পারলেন না, কি আছে সামনে?

এখানে আবার চলে আসবে নতুন সমীকরণ। আগামী ফেব্রুয়ারি মার্চে নতুন নির্বাচন। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা সংবাদ মাধ্যমে তাদের ভিশন মিশন ঘোষণা দিচ্ছে। ভিক্টর ফন্ট যেমন একেবারে মুখস্ত বলছেন জাভি হবেন পরবর্তী কোচ, লা পোর্তেও আবার নতুন করে হালান্ড বা নেইমার কে দলে ভেড়ানোর কথা বাতাসে ভাসাচ্ছেন। কিন্তু বার্সার এই আর্থিক দুরবস্থায় সেগুলো কি কেবল ই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি বাস্তব হবে?

মেসির সাথে চুক্তি শেষ হবে সাম্নের জুনে ( ২০২০-২১ মৌসুম শেষে), তারপর তাকে রেখে দিতে হলে নতুন করে চুক্তি করতে হবে। মেসি কে কি নতুন চুক্তি করাতে পারবে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নাকি মেসি যা মনস্থির করে ফেলেছেন সেটাই হবে? ইতোমধ্যে আরেকটু রঙ ছড়িয়ে দিয়েছেন নেইমার। সাম্নের মৌসুমে মেসির সাথে খেলতে চান বলছেন, সেটুকু হলে বার্সার হয়ে আবার মেসি-নেইমার জুটি দেখার আশা করতে পারতেন বার্সার সমর্থকেরা, কিন্তু মেসির স্বদেশী লিয়ান্দো পারেদেস যে বলছেন আমরা সবাই মেসি কে আমাদের মাঝে চাই।

গত আগস্ট সেপ্টেম্বরে সিটিজেন দের ঘরে যোগ দেয়া নিয়ে সবথেকে শক্তিশালী র‍্যুমার ছিল এবার কি সেটা ফ্রান্সের দিকে যাচ্ছে? এই ধোয়াশার মাঝে থাকতে হচ্ছে বার্সেলোনাকে, বার্সেলোনা বা মেসি র সকল সমর্থকদের কে। অনেকে মনে করছেন মেসি বার্সা ছেড়ে দিলে কোম্যান নতুন দের নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে বার্সা কে ঢেলে সাজাবেন। কিন্তু সাম্নের নির্বাচন তো খোদ ঠিক করে দিবে কোম্যানের ভবিষ্যৎ কতটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাঁর উপর নতুন প্রেসিডেন্ট কি ম্যান্ডেট নিয়ে আসেন, তাতে করে বয়স ৩৩ পার হয়ে যাওয়া মেসি কতদিন বার্সেলোনার শার্ট গায়ে খেলা চালিয়ে যান সেটাও একটা দেখার মত বিষয়।

ক্লান্ত, বিধ্বস্ত মেসি কখনও একা আর্জেন্টিনা কে কখনও বার্সেলোনা কে টেনে নিয়েছেন সাধ্যমত, ক্যারিয়ারের শেষ টা অখুশি আর অতৃপ্তি নিয়ে শেষ করার মতন নায়ক তিনি নন। এ অবস্থায় মেসি কি করেন সেই উপসংহারে আসাও অতটা সোজা যে হচ্ছে না তা বলাই বাহুল্য। আবার মেসি কে সব ক্লাব যে এফোর্ড করতে পারবে সেটাও কিন্তু না। সিটিজেন তা ইতোমধ্যে গার্দিওলা র সাথে তাদের চুক্তি বাড়িয়েছে, তাঁরও আগে গার্দিওলা দ্ব্যার্থহীন কন্ঠ্যে বলেছেন আর চান না বার্সেলোনার কোচ হিসেবে ফিরতে। এদিকে ফুটবল এক্সপার্ট রা মনে করেন গার্দিওলার সেরা টা দেখানো সম্ভব তখন ই যখন মেসি কে দলে পাবেন। এরকম নানা মুখী ধূম্রজালে ফুটবল সাপোর্টার বিশেষত বার্সেলোনা সাপোর্টাদের কাটাতেই হবে হয়ত আগামী বছরের আর্লি ইলেকশন পর্যন্ত।

মাঠের বাইরের এসব যখন মাঠে বার্সেলোনা তথা মেসির পারফরম্যান্সে এসে ধাক্কা দিচ্ছে তখন ব্যাপারটা যে জটিলতম সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখেই না, এখন দেখার বিষয় বার্সেলোনা কতদিনে বা কীভাবে এই সংকট কাটিয়ে ওঠে আর মেসির ক্যারিয়ারের শেষ দিনগুলো আসলে কীভাবে যায়? অতৃপ্তি আর প্রাপ্তি এই দুইয়ের ব্যবধানটা কম হোক – এখন কেবল তারই অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link