বিশ্বকাপের আসরে সুপার টুয়েলভের টানা দুই ম্যাচে পরাজয় বরণ। প্রথমবার ভারত এবং পরেরবার জিম্বাবুয়ের কাছে। বলা যায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল পাকিস্তান। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে দলটিকে।
অবশেষে জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান। ফেভারিট হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করা পাকিস্তানের এই বিশ্বকাপ যাত্রাটা নিদারুণ দু:স্বপ্নেই পরিণত হয়ে গিয়েছিল। দুই হারের পর বিশ্বকাপ থেকে যখন ছিটকে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে ছিল প্রায়, তখনই পেল কাঙ্খিত জয়।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ছয় উইকেটে জিতে তিমিরে নিমজ্জিত দলটি যেন কিছুটা আলোর রেখার সন্ধান পেল। যদিও, সেই জয় নিয়েও উঠছে নানা রকম প্রশ্ন।
নিজেদের এমন দুর্দশার জন্য কড়া সমালোচনাও পোহাতে হয়েছে, সেইসাথে চোখের সামনে নিজেদের বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভাঙতে দেখার বেদনা তো ছিলই। অবশেষে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে বাবর আজমের দল। পার্থে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের তোপের মুখে পড়েন নেদারল্যান্ডসের ওপেনাররা।
পাকিস্তান বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ডাচরা বিশ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানে থামে। যদিও এই সহজ টার্গেট চেজ করতে নেমে ম্যান ইন গ্রিনরা ১৩.৫ ওভারেই জয় তুলে নেয়, কিন্তু তাঁরাও চারটি উইকেট হারিয় ফেলেছিল।
অধিনায়ক বাবর আজম জয় পেয়ে একরকম খুশিই। তবে, জানালেন আরেকটু ভালভাবে রান তাড়া করার সামর্থ্য তাঁর দলের আছে। তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। আজকে আমরা বল ও ব্যাট দুটোতেই ভালো করেছি। আমি মনে করি লেন্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভালো লেন্থে বল করা দরকার ছিল, কারণ বল সারফেসে বাউন্স করছিল। সবাই ভালো পারফরম্যান্স করেছে।’
রান তাড়া ইস্যুতে বাবর অবশ্য নাখোশ। বললেন, ‘আমার মতে আমরা এর চেয়ে ভালো তাড়া করতে পারতাম। কিন্তু জয় সবসময়ই আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেয়। আমরা ভালো স্মৃতিগুলোকে সামনের ম্যাচে নিয়ে যাচ্ছি।’
এই জয়ে বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের পয়েন্টের খাতা খুললো পাকিস্তান। দুই পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ দুইয়ের পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে আছে বাবর আজমের দল। তবে কেবল এই জয় তাঁদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখবে না।
সেমিফাইনালের হিসেবটা বেশ জটিল। তবে আপাতত দলটি চাইবে আসন্ন দুইটি ম্যাচ জিতে নিজেদের সেমিফাইনালের স্বপ্নকে কিছুটা উজ্জীবিত রাখতে। শেষবেলায় এই গ্রুপ থেকে কারা সেমিফাইনালের টিকেট কাটবে সেই প্রশ্নটি সময়সাপেক্ষ।