ঝুঁকিতে আর্জেন্টিনার মধ্যমাঠ

বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না লো সেলসো’র। গেল ৩০ অক্টোবার অ্যথলেটিকো বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে ভিয়ারিয়ালের হয়ে খেলার সময় ইনজুরিতে পড়েন ২৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন লো সেলসো। বিশ্বকাপ থেকে তাঁর ছিটকে যাওয়া আর্জেন্টিনা দল এবং তাদের ভক্ত সমর্থকদের জন্য এক বড় দু:সংবাদ বলা চলে। বিশেষ করে তাঁদের মধ্যমাঠ পড়তে যাচ্ছে বড় ধরণের ঝুঁকিতে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স জানায়, বিলবাওয়ের বিপক্ষে অক্টোবরের ৩০ তারিখে মাঠে নেমেছিলেন লো সেলসো। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন সময়েই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে উঠে যেতে হয় তাঁকে। ম্যাচ পরবর্তীতে স্ক্যান করানো হলে দেখা যায় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন লো সেলসো। যার চিকিৎসা হিসেবে তাকে এখন শল্যবিদের শরণাপন্ন হতে হবে।

স্প্যানিশ বিভিন্ন মিডিয়া জানাচ্ছে, লো সেলসো এই তথ্য জানার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নামীদামী ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন শুধুমাত্র বিকল্প কোন চিকিৎসার মাধ্যমে হলেও যেন বিশ্বকাপটা খেলা যায়।

যদিও এই নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন (এএফএ) কোন বিবৃতি দেয়নি এখনও। এমনকি ভিয়ারিয়াল থেকেও কোন বিবৃতি আসে নি। লো সেলসো বর্তমানে টটেনহ্যাম হটস্পারের খেলোয়াড় হলেও এ বছর  ভিয়ারিয়ালে ধারে খেলছিলেন। তাঁর সম্পর্কে  বলতে গিয়ে এর আগে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি  তাকে ‘অপূরণযোগ্য’ বলে আখ্যা দেন।

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া অবশ্যই আর্জেন্টিনা দল এবং স্কালোনির জন্য দু:সংবাদই বলা চলে। কেননা লো সেলসো ছাড়াও পাওলো দিবালা, হুয়ান ফয়েথ সহ আরও বেশ কয়েকজন এর ইনজুরিতে পরে  বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে এ সপ্তাহ শেষেই স্ক্যালোনিকে প্রাথমিক দল থেকে মূল স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে। লো সেলসোর জায়গায় স্ক্যালোনি সম্ভবত এজেকুয়েল প্যালাসিয়াসকে দলে রাখতে যাচ্ছেন। সাথে আছেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও এনজো ফার্নান্দেজ। মাঝ মাঠে তাঁরা লিওনেল মেসির সাথে সমন্বয় করে খেলবেন।

আর্জেন্টিনা এবারের কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘সি’ তে রয়েছে। ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে মেসিদের বিশ্বকাপ মিশন। গ্রুপের বাকি দুই দল হল মেক্সিকো এবং পোল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link