চোখের পলকে শেষ হয়ে এলো আরেকটি বিশ্বকাপের আসর। মেলবোর্নে ফাইনালের মহারণে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। এমন সময়ই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মেন্টর অস্ট্রেলিয়ান লিজেন্ড ম্যাথু হেইডেন বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেছেন। হেইডেন জানান ভারতের চেয়ে পাকিস্তান দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালভাবে লড়তে পারবে।
মেলবোর্ন ফাইনালের আগে সাংবাদিকদের হেইডেন বলেন, ‘অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনালে। ম্যাচটি অবশ্যই স্বপ্নের একটি ম্যাচ হত।’
কিন্তু ইংল্যান্ড কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নভঙ্গ করে ভারতকে হারিয়ে পৌছে গেছে ফাইনালে। আর তাই হেইডেনদের এখন ছক আঁকতে হচ্ছে ইংলিশদের বিরুদ্ধে। ফাইনালের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হেইডেন ব্যাখ্যা করেছেন, কেন পাকিস্তান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের চেয়ে ভাল করবে।
হেইডেন বলেন, ‘ইংল্যান্ড ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কৌশলগত দিক থেকে এগিয়ে ছিল। তারা ভারতের বিপক্ষে তাদের কৌশল গুলো ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। যার ফলে ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ইংলিশ লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে স্বচ্ছন্দ্যে খেলতে পারে নি। অপরদিকে ভারতীয় দলে কোন লেগ স্পিনার না থাকায় অ্যালেক্স হেলস এবং জস বাটলার ভারতীয় সকল বোলারকেই এক কথায় দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে।’
ফাইনালে পাকিস্তান এলেক্স হেলস এবং জস বাটলারকে কিভাবে থামাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হেইডেন বলেন, ‘পাকিস্তানের বোলিং গভীরতা ভারতের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের অন্তত ৬/৭ জন প্রয়োজনে বল করতে পারে। আর তাছাড়া গত ম্যাচে ভারত সবচেয়ে বেশি যেটা মিস করেছে তা হল একজন লেগ স্পিনারের সার্ভিস। আর পাকিস্তানের যেটা অনেক ভালভাবেই আছে।’
হেইডেন আরও বলেন, ‘ম্যাচটা মূলত পাকিস্তানের কোয়ালিটি বোলিং এত বিপক্ষে ইংল্যান্ডের কোয়ালিটি ব্যাটিংয়ের হতে যাচ্ছে।’ সাংবাদিকদের হেইডেন আরও বলেন, ‘আপনারা তো শুধু ইংল্যান্ডের দুজনের ব্যাটারের নাম বললেন,কিন্তু আমি মনে করি ওদের স্কোয়াডে অন্তত আরও ৪ জন রয়েছে যারা চাইলেই ২০ ওভারের ম্যাচে আপনাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই আমাদের যথেষ্ট বোলিং অপশন থাকতে হবে। যেটা গত ম্যাচে ভারতের ছিল না।’
বোলিং অপশনের কথা বলতে গিয়ে হেইডেন আরও যোগ করেন, ‘আমাদের বোলিংয়ের জন্য ইফতিখারকেও বলতে পারি।অপরদিকে শাদাব, নাওয়াজ এরা বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও দারুণ করে। ওদিকে ইংল্যান্ডের দলেও একই ভাবে মঈন (আলী), লিভিংস্টোন, ছাড়াও আদিল (রশিদ) রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে বলা যায় এটা দারুণ উপভোগ্য একটা ম্যাচ হতে চলেছে।’
পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড উভয়ের জন্যই এটা টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় ফাইনাল হতে যাচ্ছে। যেখানে পাকিস্তান ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় আর ইংল্যান্ড তার পরের বছর ২০১০।