আবারও আলোচনায় দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএল মাঠের ক্রিকেট দিয়ে যতটা আলোচিত হয় তার চেয়ে অনেক বেশি সমালোচিত হয় মাঠের বাইরের নানা কান্ড নিয়ে। দেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রতিটা আসরের কোন না কোন খুঁত থেকে যায়। এবারও বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই হাওয়ায় ভাসছে বিতর্ক আর বিতর্ক।
বিপিএলের পরবর্তী আসর মাঠে গড়াবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে।এছাড়া এই মাসের ২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির প্লেয়ার্স ড্রাফট। অথচ তাঁর মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেই নতুন বিপাকে পরে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্যারান্টি মানি দিতে পারেনি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ফলে আর্থিক সংকটে বিপিএলে অংশ নিচ্ছে না ঢাকার মালিকানা পাওয়া প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড। আগের বার তারা সিলেট সানরাইজার্সের মালিকানা পেয়েছিল। এবার নিজেদের অপারগতার কথা চিঠি দিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে জানিয়েছে তারা। এতেই দারুণ বিপাকে পড়তে হচ্ছে ঢাকার মালিকানা নিয়ে।
এর আগে বিপিএলে দল পেতে ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখায়, যারা পরবর্তী তিন আসরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। শেষ পর্যন্ত গত সেপ্টেম্বরে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেয় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ফলে শেষ মুহূর্ত নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজতে হচ্ছে কাউন্সিলকে।
প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড সরে যাওয়ায় বাদ পড়া চার প্রতিষ্ঠানই ভরসা হতে পারে ঢাকার মালিকানার জন্য। যদিও জানা গিয়েছে সাকিব আল হাসানের মোনার্ক মার্ট এ দফায়ও সুযোগ পাবে না। জোর আলোচনা চলছে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে একটিকে ফেরানোর ব্যাপারে।
বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই এবারও তাই শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনার আসর। তবে এখানেই শেষ নয়। লিগটির নবম আসরের লোগো নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। বিসিবির লোগো আহবান যেন বিতর্কে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে।
অনেকদিন আগেই এবারের আসরের লোগো চেয়ে নিজেদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরপর সেখানে জমা পড়ে অসংখ্য লোগো। সেখান থেকে সেরা চার লোগো এবার নিজেদের ফেসবুকে প্রকাশ করেছে বিসিবি।
এখান থেকেই বাছাই করা হবে বিপিএলের নবম আসরের লোগো। তবে চারটি লোগোর কোনটিকেই বিপিএলের লোগো হবার মত মনে করছেন না ভক্ত-সমর্থকরা। এই নিয়েও এখন নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছে বিসিবি।
অনেকের মতে বিসিবির মত এত বড় একটা সংস্থা চাইলেই টাকা খরচ করে ভাল কোন ডিজাইনার দিয়ে লোগো তৈরি করতে পারতো। ফলে লোগো আহবানের এই ঘটনা নিয়েও সমালোচিত ক্রিকেট বোর্ড।
সব মিলিয়ে সমালোচনা, বিতর্ক যেন বিপিএলের পিছুই ছাড়েনা। এবারও মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। তবে এসব ছাপিয়ে বিপিএলে ক্রিকেটের মান নিয়ে তো বিতর্ক তো আছেই। এত বছর ধরে এই লিগ অনুষ্ঠিত হলেও তেমন কোন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার আসেনি টুর্নামেন্টটি থেকে।
এছাড়া ভালোমানের বিদেশি ক্রিকেটার না থাকার সমালোচনাও আছে বিপিএলকে ঘিরে। এবার অবশ্য সেই বিতর্ক কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো। দলগুলো ইতোমধ্যেই ভাল ভাল বিদেশি ক্রিকেটার নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে। এত বিতর্কের পরেও বাইশ গজে বিপিএল জমে উঠবে সেটাই প্রত্যাশা।