বাংলাদেশে খেলতে আসছে পাকিস্তানের তেরো জনের একটি স্কোয়াড। এমন খবর শুনে থাকলে বিভ্রান্ত হবেন না। আসলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের তেরো ক্রিকেটার। ফলে এবারের বিপিএলে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে এক ঝাঁক পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দেখা মেলে না মানসম্পন্ন ক্রিকেটারের। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা এখানে খেলতে আসেন না কিংবা সেই সুযোগও হয়ে ওঠেনা। তবে এবার সেই কালিমা কিছুটা হলেও মুছতে চাইছে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো। কেননা যে তেরো জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলতে আসছেন তাঁদের অনেকেই এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা।
এমনকি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলেছে পাকিস্তান দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশটার উত্থান চোখে পড়ার মতই। আর ফাইনাল খেলা পাকিস্তান দলেরই সাতজন খেলবেন এবারের বিপিএলে। এর বাইরে যারা আসছেন তাঁদের মধ্যেও আছে বেশ বড় বড় নাম। মোট পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি পাকিস্তানের এই তেরো ক্রিকেটারের সাথে ইতোমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ওদিকে গতবছর বিপিএলে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা খেলতে পারেননি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সাথে সংঘর্ষ হওয়ায়। তবে এবার বিপিএল খেলার জন্য ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। জানুয়ারির ১৫ তারিখ নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজ শেষ হলেই বিপিএল খেলতে চলে আসতে পারবেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহরা।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুই নাম মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ব্যাট হাতে এই ফরম্যাটে রানের পর রান করে যাচ্ছেন রিজওয়ান। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশের দর্শকরা মাঠে বসে দেখতে পারবে রিজওয়ানের রান বন্যা।
তবে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা। বিশ্বকাপ ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ায় এখন তাঁর বিপিএল খেলা নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এছাড়া হাসান আলীকেও দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
ওদিকে পাকিস্তানের নতুন পেস সেনসেশন নাসিম শাহকে দলে নিয়ে চমক দেখিয়েছে খুলনা টাইগার্স। এছাড়া পাকিস্তানের আরেক পেসার ওয়াহাব রিয়াজও খেলবেন তামিমের দলে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আজম খানকে দলে নিয়েছে খুলনার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের পাওয়ার হিটিং স্কিল দিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ হারিস। এই ব্যাটারের চার-ছয়ের পশরা সাজাবেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। আর এই দলটাকে নেতৃত্ব দিবেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বোলিং আক্রমণে তাঁর সাথে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরও থাকছেন দলটিতে।
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অন্যতম দুই ক্রিকেটার ছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও হারিস রউফ। আর এই দুজনকে দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। দুজনের সাথে রংপুরের হয়ে খেলবেন শোয়েব মালিকও।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবারও থাকছেন ফরচুন বরিশালেই। দলটির হয়ে খেলবেন ক্রিস গেলও। এছাড়া পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিও খেলবেন বরিশালের হয়ে।
যে দলের হয়ে মাঠে নামবেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা
- খুলনা টাইগার্স : নাসিম শাহ, আজম খান, ওয়াহাব রিয়াজ।
- সিলেট স্ট্রাইকার্স : মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ আমির।
- রংপুর রাইডার্স : শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নওয়াজ, হারিস রউফ।
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি।
- ফরচুন বরিশাল : মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, ইফতেখার আহমেদ।