কোচ হিসেবে এবারের ফিফা বিশ্বকাপে প্রথম লাল কার্ড দেখলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ পাউলো বেন্টো। কোরিয়ার অতিরিক্ত সময়ের শেষে পাওয়া কর্নার কিক নেবার আগেই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোয় রেফারির সাথে তর্কে জড়ান পাউলো। ইংরেজ রেফারি টেইলর লাল কার্ড দেখান এই পর্তুগিজ কোচকে।
ইডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘এইচ’ এর খেলায় পুরো ম্যাচে আধিপত্য বজায় রেখেও ফিনিশিং দুর্বলতা আর ঘানার রক্ষণের দৃঢ়তায় ম্যাচ হারে দক্ষিণ কোরিয়া। নির্ধারিত সময়ের শেষে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ করেন রেফারি। সেই ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের শেষে একটি কর্নার পায় কোরিয়া।
ততক্ষণে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। সাধারণত কোনো সেট পিস হলে খেলা চালিয়ে যান রেফারি। কিন্তু এবার কর্নার নেবার আগেই ম্যাচ শেষের ঘোষণা দেন রেফারি টেইলর।
এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বেন্টো। শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মাঠে প্রবেশ করে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন তিনি। তাঁর সাথে যোগ দেন খেলোয়াড়রাও। রেফারির সাথে তর্কে জড়ানোকে ভালো ভাবে নেননি ইংরেজ এই রেফারি। লাল কার্ড দেখান বেন্টোকে। লাল কার্ড দেখেও মুখে লাগাম লাগাননি। রেফারিকে কি যেন বলতে বলতে তিনি মাঠ ছাড়েন।
পর্তুগালের সাবেক মিডফিল্ডার বেন্টো ২০১৮ সালের আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে নিজের দেশ পর্তুগালের কোচ হিসেবে নিজের দল নিয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপে যান বেন্তো। সেবার গ্রুপপর্ব থেকে বাদ যায় পর্তুগাল।
প্রথম কোচ হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে লাল কার্ড দেখেন বেন্টো। যার ফলে গ্রুপপর্বে কোরিয়ার শেষ ম্যাচে মাঠের ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না তিনি। এক ম্যাচের জন্য টেকনিক্যাল জোন থেকে নিষিদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোচ।
নিজের দেশের বিপক্ষে লড়াইয়ে ডাগ আউটে থাকছেন না বেন্টো। ফলে, শেষ ম্যাচটা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য আরও বেশি কঠিন হতে চলেছে।