রোনালদোর পর্তুগালের নায়ক ব্রুনো

গ্রুপ ‘এইচ’ এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে মাঠে নেমছিলো উরুগুয়ে। প্রথম ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জেতা পর এবার উরুগুয়েকে ২-০ হারিয়ে নকআউট পর্বে নাম তুলল পর্তুগাল।

ম্যাচের শুরু থেকেই সমানে সমান দুই দল। কিন্তু কোনোদিন সেভাবে গোলের মুখ খুলতে পারে নি। প্রতিপক্ষের রক্ষণ ত্রাস ছড়ালেও দুই দলই ব্যর্থ ছিলো আক্রমণকে গোলে রূপান্তর করতে। তবে খেলার ৩২ মিনিটে বেন্টানচুর মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে ডি-বক্সের ঠিক আগে তিনজন পর্তুগিজ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যখন ভেতরে ঢোকেন তখন তার সামনে শুধু গোলরক্ষক।

কিন্তু, তাকেই তিনি পরাস্ত করতে পারেননি। গোলটি হলে হয়তো এবারের বিশ্বকাপের সেরা গোলের তকমা পেত। আর উরুগুয়েও এবারের বিশ্বকাপে প্রথম গোলের দেখা পেতো। কিন্তু তার ভাগ্যের মতো উরুগুয়ের ভাগ্যও বদলায়নি। তাই গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুইদল।

বিরতি থেকে ফিরে আরো বেশি আক্রমণাত্মক পর্তুগাল। ৫২ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় উরুগুয়ের রক্ষণদুর্গে। তবে এর দুই মিনিট পরই ম্যাচের ৫৪ তম মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রস থেকৈ হেড থেকে গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো এগিয়ে দেন দলকে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগিজরা। যদিও, পরে গোলটা ব্রুনোর বলেই রায় দেয় ফিফা।

পিছিয়ে পড়ে আরো আক্রমণ চালাতে থাকে উরুগুয়ে। তাদের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা পর্তুগিজ রক্ষণ বাঁধা পার হতে পারে নি। ভাগ্যকেও কিছুটা দুষতে পারে উরুগুয়ে। ম্যাচের ৭৬ তম মিনিটে উরুগুয়ের প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় পোস্টে লেগে।

ম্যাচের ৯০ তম মিনিটে হ্যান্ডবলের জন্য ভিএআর এর সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। দলের লিড দ্বিগুণ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ম্যাচের বাকি সময় দুইদলই বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের দরজা আর খোলেনি। খেলার ৯৯ তম মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ এর শট আবারো পোস্টে লেগে প্রতিহত গয়। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। দুই গোল করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ওই ব্রুনোই।

এই জয়ে ফ্রান্স, ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত পর্তুগালেরও। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিন কোরিয়ার মুখোমুখি হবে তারা। অন্যদিকে এখনো কিছুটা টিক আছে উরুগুয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার স্বপ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link