প্রত্যাশিত জয়ে মেসি মুগ্ধতা

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ছিলো দুর্দান্ত, দুরন্ত। সেই ছন্দ নষ্ট হতে দেননি ক্ষুদে জাদুকর। ক্যারিয়ারে নিজের ১০০০ তম ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখলেন তাঁর ট্রেডমার্ক গোলের মাধ্যম। আর্জেন্টিনাও উঠে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে।

ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না গত ম্যাচের সেই আর্জেন্টিনাকে। প্রথম ৩০ মিনিটে গোলমুখে একটিও শট নিতে পারেনি মেসিরা। তবে ম্যাচের ৩৫ তম মিনিটে ত্রাতার ভূমিকায় সেই মেসি। এই ম্যাচ তাঁর ক্লাব আর জাতীয় দল মিলিয়ে নিজের ১০০০ তম ম্যাচ। সেই ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন অসাধারণ “মেসিসুলভ” এক গোল করে। এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময়ও গোলমুখে আর তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তাই ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আলবি সেলেস্তেরা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আস্ট্রেলিয়াকে চাপে রাখে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৭ তম মিনিটে অজি গোলরক্ষক এর ভুলের সুযোগ থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারেজ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে মরিয়ে হয়ে ওঠে সকারুরা। বেশ কয়েকটি গোছানো আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না তাঁরা।

তবে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ম্যাচের ফেরার লাইফ নাইন পায় অস্ট্রেলিয়া। ফার্নান্দেজ এর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান ২-১ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর সমতায় ফিরতে তৎপর হয়ে পরে তাঁরা। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে গ্রাহাম আরনল্ডের শীর্ষ্যরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ খেলা অস্ট্রেলিয়া আর কোনো গোলের দেখা পায়নি।

অন্যদিকে বদলি হিসেবে নামা লউতারো মার্টিনেজ বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করলে ব্যবধান আর বাড়ানো হয়নি আলবি সেলেস্তেদের। তাই ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে শুরু করা আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের কক্ষপথে আছে ভালোভাবেই। ক্ষুদে জাদুকরের ক্যারিয়ারের পূর্ণতা দেবার পথে শেষ আটে উঠলো তাঁরা। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link