সহজ জয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড

১৯৬৬ সালের পর আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। ‘ইটস কামিং হোম’ এর রব তুলে বিশ্বকাপে যাওয়া ইংল্যান্ড শিরোপার পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো। সেনেগালকে সহজেই হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিলো গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

শেষ আটে যাবার লড়াইয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রন নেবার চেষ্টায় থাকলেও ছন্দ পেতে বেশ খানিকটা সময় নিচ্ছিলো ইংল্যান্ড। বলের নিয়ন্ত্রন বেশিরভাগ ইংল্যান্ডের কাছে থাকলেও ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল সেনেগালই। ২৩ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে ইসমাইল সারের শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে গেলে লিড নেয়া হয়নি সেনেগালের।

তবে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেলিংহ্যামের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন লিভারপুলের অধিনায়ক হেন্ডারসন। ৪৩ মিনিটে আবার গোলের সহজ সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু লুক শর শট অসাধারণ দক্ষতায় সেভ করেন সেনেগালের গোলরক্ষক মেন্ডি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ফোডেনের বাড়ানো বল থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন কেন।

দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ইংল্যান্ডকে আবারো এগিয়ে দেন সাকা। বাম প্রান্ত থেকে ফোডেন এর অ্যাসিস্টে এবারের বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় গোল করেন সাকা। ২০০২ বিশ্বকাপে ডেভিড বেকহামের পর ইংল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নক আউট পর্বে একই ম্যাচে দুটি এসিস্ট করলেন ফোডেন।

ম্যাচের ৮০ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ড। তবে রাশফোর্ডের পাসে পা ছোঁয়াতে পারেননি হ্যারি কেন। ম্যাচে ইংল্যান্ডের চেয়েও বেশি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলেও সেনেগাল গোল অভিমুখে শট নেয় মাত্র একটি। অন্যদিকে আটটি সুযোগের মধ্যে অন-টার্গেট ৪ টি শট ইংল্যান্ডের। যার মধ্যে ৩ টিই গোলে পরিণত হয়। তাই ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ১৯৬৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলা ইংল্যান্ড এবার কোমড় বেধেই নেমেছে। দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে থাকা গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের সামনে এবার বড় চ্যালেঞ্জ। কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link