নন্দন, সৌন্দর্য, আধিপত্য; ব্রাজিল ফুটবলের প্রতিশব্দ গুলো বারবার আজ মরে করালো সেলেসাওরা। প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা বা গোলের ব্যবধান নয় কোরিয়াকে হারানোর ম্যাচে ব্রাজিল যেন নিজেদের জন্য যুগিয়ে নিলো অনেক রশদ। দক্ষিন কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে বাকি প্রতিপক্ষদের জন্য একপ্রকার হুমকিই দিয়ে রাখলো ব্রাজিল।
খেলার শুরু থেকেই যেন আগের ম্যাচে প্রথম কোনো আফ্রিকান দেশের বিপক্ষে হারার দুঃসহ স্মৃতি ভোলার মিশনে নেমেছিলো ব্রাজিল। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে তারা। লিড নিতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতেও হয়নি সেলেসাওদের। খেলার ৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ভেতরে ঢোকা রাফিনহার দুর্দান্ত এসিস্ট থেকে দারুণ ফিনিশে ব্রাজিলকে প্রথম লিড এনে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ২য় গোল এটি রিয়াল মাদ্রিদ তারকার।
১৩ তম মিনিটে রিচার্লিসন ডিবক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পট কিক থেকে ইনজুরি ফেরত নেইমারের ট্রেডমার্ক গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারকে ফিরে পেয়ে যেন খেলায় ছন্দ ফিরে পেলো ব্রাজিল। ২৯ মিনিটে এবার সাম্বার ছন্দ প্রদর্শন। প্রথমে স্কিলের অসাধারণ প্রদর্শনীতে ডিবক্সে ঢুকে থিয়াগো সিলভার পাস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিং এ বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় গোল করেন রিচার্লিসন।
৩৬ মিনিটে ভিনিসিয়াসের পাস থেকে ব্যবধান ৪-০ করেন লুকাস পাকুয়েতা। ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মত প্রথমার্ধে ৪ গোলের লিড নিলো সেলেসাওরা। এর আগে ১৯৫৪ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর সাথে ৪ গোলে এগিয়ে বিরতিতে গিয়েছিলো ব্রাজিল।
বিরতির পরও নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে ব্রাজিল। ৫৪ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনহা। তবে খেলার ধারার বিপরীতে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে পাইক এর অসাধারণ ভলিতে কিছুই করার ছিলো না এলিসনের। ব্যবধান ৪-১ করে দক্ষিন কোরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে তারা বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করে কোরিয়ানরা। দ্বিতীয়ার্ধে যেন কিছুটা গতি কমায় ব্রাজিল। যদিও বেশ কয়েবার গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে গোলের দেখা পাননি রাফিনহা, রিচার্লিসনরা।
৪-১ গোলের জয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেলো পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের ষষ্ট শিরোপার পথে এগিয়ে গেলো আরো একধাপ। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আগের আসরের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া।