বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগালের বিদায় হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালেই। কান্না ভেজা চোখে বিশ্বকাপ মঞ্চ ছেড়েছেন পর্তুগালের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারের কঠিন সময় পার করছেন রোনালদো। রোনালদো এবং তার পরিবারের জন্য কঠিন সময় গেলেও রোনালদোর পরিবার উপভোগ করছেন এবারের বিশ্বকাপ।
রোনালদোর বোন এবং পর্তুগীজ পপ গায়িকা কাতিয়া আভেইরো সাধারণত ভাই রোনালদোর খেলা অথবা প্রতিপক্ষের খেলা নিয়ে কথা বলেন না। কিন্তু লুসাইল স্টেডিয়ামের রোমাঞ্চকর ফাইনালের পর নিজের মুগ্ধতার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন কাতিয়া।
১৫ বছর ধরে ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করছেন লিওনেল মেসি আর ক্রিশিয়ানো রোনালদো। দুইজনেরই লক্ষ্য থাকে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাবার। তাই তাদের ভক্তকুলও প্রতিপক্ষের অর্জনে খুব বেশি খুশি হতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। রবিবারের ফাইনালে তাই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বেশিরভাগ ভক্তেরই সমর্থন ছিল ফ্রান্সের পক্ষে।
শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালটি ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হবার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বেও অনেকটা এগিয়ে রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন মেসি। কাতিয়াও উপভোগ করেছেন এই শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল।
ফাইনাল শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের জন্য এটি সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ ছিল। কিন্তু এই বিশ্বকাপ দারুণ এক ফাইনাল উপহার দিয়েছে আমাদেরকে। কি অসাধারণ একটি ফাইনাল। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা।’
বিশ্বকাপের রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচ থেকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েন অফ ফর্মে থাকা রোনালদো। গ্রুপ পর্বে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর নক আউটে একাদশ থেকে বাদ পড়ে কোচের সাথে কথার লড়াইয়ের জন্য খবরের শিরোনাম হয়েছেন সিআর সেভেন। কোয়ার্টার ফাইনালে বদলি হিসেবে নামলেও মরক্কোর বিপক্ষে হেরে চোখের জলে মাঠ ছাড়েন এই তারকা। রোনালদো ও তার পরিবারের জন্য এটিই সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ তো বটেই।
কাতিয়া আভেইরার শেয়ার করা ছবিতে মেসিকে দেখা গেলেও ভাইয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দীকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কাতিয়া। কাতিয়া অবশ্য প্রসংশায় ভাসিয়েছেন ফাইনালের হ্যাট্রিক করা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে, ‘এই ছেলেটি অসাধারণ। দারুণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তোমার।’