নতুনত্ব আর চমকে ভরা ছিল কাতার বিশ্বকাপ। লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার ট্রফি শোকেসে অপূর্ণ ছিল একটি মাত্র জায়গা। বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারকেই এক অর্থে পূর্ণতা দিয়েছেন মেসি। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে সেই আরাধ্য ট্রফি মেসির হাতে তুলে দেবার আগে মেসিকে কাতারের ঐতিহ্যবাহী পোষাক গাউন পড়িয়ে দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
কাতারের সংস্কৃতি অনুযায়ী, এই পোষাক কাতারের আভিজাত্য, সম্পদ, সৌজন্য আর জ্ঞানের প্রতীক। আরবে এই পোশাক পড়িয়ে দেবার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সম্মানা জানানো হয়। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসিকে এই পোষাক পড়িয়ে দেবার মাধ্যমে কাতারের সর্বোচ্চ সম্মাননা জানান কাতারের আমির।
এদিকে, মেসির পরিধান করা এই বিখ্যাত গাউন নিয়ে ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আরবের বেশ কয়েকজন ধনকুবের, যারা মেসির এই ‘আইকনিক’ পোশাক সংগ্রহে রাখতে চান। আহমেদ আল বারওয়ানি নামক একজন আইনজীবী এবং ওমানের সংসদ সদস্য এই পোশাক কেনার জন্য মেসির প্রতি একটি বড় প্রস্তাব রেখেছেন।
তিনি মেসিকে সাত সংখ্যার যে কোনো অংকের মূল্য দিতে চান এই পোশাকটি নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য। কিন্তু মেসি এই পোষাক টাকার জন্য হাতছাড়া করবেন এমনটা আশা করাও বাড়াবাড়ি এই মুহুর্তে। মেসি জানেন এই সম্মাননা কতটা বিশাল। একজন বিদেশি এবং আরবের বাইরের মানুষ হিসেবে এই সম্মাননা পাবার মাহাত্ম্য নিশ্চয় জানেন ক্ষুদে জাদুকর।
বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে কাতারের এই ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিহিত মেসির ছবিটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে যুগ যুগ ধরে। এই বিখ্যাত পোষাকটি তাই মেসির নিজ শহর রোজারিও তে ‘লিও মেসি জাদুঘর’ এ ঠাই পাবার সম্ভাবনাই বেশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের মাধ্যমে এই বিখ্যাত গাউনটি কেনার প্রস্তাব করেন আল বারওয়ানি।
মেসির উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, ‘কাতারের সালতানাতের তরফ থেকে বিশ্বকাপ জেতার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই আরব ‘বিশত’ সৌজন্য আর জ্ঞানের প্রতীক। এই পোষাকটির জন্য আমি আপনাকে ১ মিলিয়ন ডলার প্রস্তাব করছি। আপনি সরাসরি স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে মেসিকে এই ‘বিশত’ পরিয়ে দেবার দৃশ্যটি দেখেছি।’
নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আরাধ্য অর্জনের সাথে জড়িত সব কিছুই নিশ্চয়ই অনেক স্পেশাল মেসির জন্য। তাই শিরোপা হাতে নেবার সময় পরিধান করা এই বিশেষ সম্মাননা পোশাকটি নিশ্চয়ই নিজের কাছেই রেখে দিতে চাইবেন লিওনেল মেসি।