১৯ বছর বয়সেই রাশিয়ায় জিতেছিলেন বিশ্বকাপ। চার বছর পেরোতেই আবারো সুযোগ ছিল গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের সোনালি ট্রফিতে চুমু খাবার। কিন্তু খুব কাছে গিয়েও দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতা হয়নি ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের। ফাইনালে হ্যাট্রিক করেও ফ্রান্সকে জেতাতে পারেননি এমবাপ্পে। ফাইনাল হারের এই হতাশা কখনোই ভুলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এমবাপ্পে।
বিশ্বকাপের বিরতির পর আবারো শুরু হয়ে গেছে ক্লাব ফুটবলের লড়াই। বিশ্বকাপের পর ফরাসি লিগ ওয়ানের প্রথম ম্যাচে স্ট্রাসবার্গের বিরুদ্ধে মাঠে নামে এমবাপ্পে-নেইমারদের পিএসজি। বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হবার ১০ দিন পরই লিগ ওয়ানে মাঠে নামতে হয়েছে এমবাপ্পেকে।
স্ট্রাসবার্গের বিরুদ্ধে জয়ের পর এমবাপ্পে বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি বিশ্বকাপ ফাইনালের হার কখনোই ভুলতে পারব না।’ ফাইনালে হারার পর থেকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে বলেও জানান এই ফরাসি তারকা। যদিও বিশ্বকাপের পর লিগের প্রথম ম্যাচে পারফরম্যান্সে কোনো ছাপ পড়তে দেননি এমবাপ্পে।
ম্যাচের শেষ মুহুর্তে পেনাল্টি থেকে করা গোলে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি) ২-১ গোলের জয় এনে দেন এমবাপ্পে। নিজের বিশ্বকাপ হতাশার ছাপ ক্লাবের খেলায় পড়তে দেননি এমবাপ্পে। বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ী এই তারকা বলেন, ‘আমি আমার সতীর্থদের বলেছি যে আমাদের জাতীয় দলের ব্যর্থতার ছাপ ক্লাবের খেলায় পড়তে দেবার কোনো মানেই নেই। দুইটি খুবই আলাদা দুইটি পরিস্থিতি।’
ক্লাবের জার্সিতে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে বলেও জানান এমবাপ্পে। তিনি বলেন, ‘খুবই ভালো অনুভব হচ্ছে যে জয় দিয়ে আবার আমরা ফিরতে পেরেছি। ক্লাব, দর্শক আর সতীর্থদের সাথে আবারো এক হতে পেরেও ভালো লাগছে।’
স্ট্রাসবার্গের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৯৬ মিনিটে এমবাপ্পের নৈপুণ্যে জয় নিশ্চিত করে পিএসজি। এ ম্যাচে দুইটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয় ব্রাজিল তারকা নেইমারকে। অন্যদিকে, বিশ্বকাপ ট্রফি জয় উদযাপনের জন্য ক্লাব থেকে ছুটি পেয়েছেন লিওনেল মেসি।