নিমেষে বদলে গেছেন তিনি

পরিবর্তন থেকে বিবর্তন, পৃথিবীর চিরন্তন নিয়ম। প্রভাবক হয়ে হাজির হয় বহু কিছু। তেমনই এক প্রভাবক হয়ে হাজির ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই ধারার বিস্তারের পেছনে ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অবদান অস্বীকার করবার কোন উপায়ই নেই। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টা এসএ২০ এর। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এই ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে এসএ২০।

প্রায় প্রতিটা ক্রিকেট খেলুড়ে দেশই এখন ছুটছে নিজস্ব এক ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের দিকে। আইপিএল দেখিয়ে দিয়েছে, বিবর্তনের চলমান ধারায় ক্রিকেটারদেরও পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। পুরো বিশ্বের ক্রিকেটারদের নিজেদের খেলার মান বাড়ানো থেকে শুরু করে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে এসব ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো। তেমনটাই মনে করেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স।

২০০৮ সালে শুরু হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত মুখ ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। তিনি সামনে থেকে দেখেছেন ঠিক কি করে ক্রিকেটের সংস্কৃতি থেকে উন্নতিতে অবদান রেখে চলেছে মানসম্মত এক ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। তাইতো, তিনি মনে করেন এসএ২০ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের বিবর্তনেও অবদান রাখবে।

ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমি মনে করি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে দারুণ সময়ে এসএ২০টা শুরু হচ্ছে। আমরা দেখেছি এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলো চমৎকার প্রভাব ফেলেছে দেশগুলোর ক্রিকেটে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সামনে আমাদের দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের নিজেদেরকে মেলে ধরবার একটা ভিত্তি হবে এই টুর্নামেন্টটি।’

ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাঁর জায়গাটা দখল করতে অপেক্ষমান তরুণ ক্রিকেটার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ইতোমধ্যেই বিশ্ব ক্রিকেটে আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলছেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তিনি এখন সর্বোচ্চ রানের মালিক। তাছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চ মাতিয়েছেন ব্রেভিস। এই ব্যাটারের দিকে বাড়তি নজর রাখছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

তাছাড়া এবি ডি ভিলিয়ার্স তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই গ্লেন ম্যাকগ্রার মত কিংবদন্তিদের সন্নিকটে আসার সুযোগ পেয়েছেন। সেই সুযোগ তাঁর ক্যারিয়ারের প্রভাব ফেলেছে। তেমন সুযোগ এবার ব্রেভিসরা পেতে চলেছেন। এ নিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমি আইপিএল খেলতে গিয়ে যে সকল মানুষদের সাথে মিশেছি তাঁরা সবাই আমার ক্যারিয়ারে প্রভাব রেখেছেন। আমার মনে পরে গ্লেন ম্যাকগ্রার সাথে কাটানো সময়। তিনি বেশ গম্ভীর একজন খেলোয়াড় ছিলেন, আর তাঁর সাথে বসেই আমি আড্ডা দিয়েছি, বিয়ার খেয়েছি।’

এসব ছাড়াও, আইপিএল ভিলিয়ার্স থেকে শুরু করে বাকি খেলোয়াড়দের জীবনেও প্রভাব ফেলেছে বলেই মত এবি ডি ভিলিয়ার্সের। তিনি বলেন, ‘আমি সহ আরও বেশকিছু খেলোয়াড়দের জন্যে বেশ বড় এক উপলক্ষ্য ছিল। আইপিএল শুরু হওয়াটা আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে। সেখানকার মানুষেরা অনেক বেশি ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহী। তাঁরা শুধু নিজের দলকে সমর্থন দেয় না, প্রতিপক্ষ দলের সদস্যদেরও তাঁরা সমর্থন দেয়।’

এবারের এসএ২০ আয়োজনের পেছনে অবদান আছে আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিদের। দক্ষিণ আফ্রিকান এই টুর্নামেন্টের ছয়টি দলের মালিকানা নিয়েছে আইপিএলের ছয়টি ভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি। সুতরাং আইপিএলের অবদান অগ্রাহ্য করবার সুযোগ নেই। ক্রিকেটের বৈশ্বিক বিবর্তনে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link