এক সাক্ষাৎকার দিয়ে বিরাট একটা বোমাই ফাঁটিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, দলের মধ্যে গ্রুপিং আছে। খোদ সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের নিজেদের মধ্যে কোনো মুখ দেখাদেখির সম্পর্কও নেই। স্রেফ দায়বদ্ধতার খাতিরে তাঁরা খেলেন এক সাথে।
যদিও, এবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পুরো ঘটনার দায় চাপালেন মিডিয়ার ওপর। তাঁর দাবি, তিনি মিডিয়া থেকেই জেনেছেন দু’জনের সম্পর্কের অবনতির খবর।
তিনি বলেন, ‘সহজ ইস্যুটা হচ্ছে আজ থেকে ৩ বছর আগেও ড্রেসিংরুমের কোনো সমস্যা আমি কখনো দেখিনি। সো আপনি ১৫ বছর থেকে ১২ বছর কাট করে দেন। লাস্ট তিন বছর আমি টিমের সঙ্গে নেই, আগে হোটেলেও থাকতাম। কাজেই এই যে কথাটা ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো নেই, তামিম-সাকিবের সমস্যা এসব কিছু কিন্তু আমার বাইরে থেকে শোনা। সবচেয়ে বেশি কিন্তু আমি এ কথাটা শুনি মিডিয়া থেকে, মিডিয়ার লোকেরা আমায় বেশি বলে।’
সাক্ষাৎকারে পাপন বলেছিলেন, ‘এটা কোনো স্বাস্থ্যকর ড্রেসিংরুম নয়, এটা আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি।’ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল একদিন বাদেই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, গেল ১৭ বছর তিনি ড্রেসিংরুমে কোনো সমস্যা দেখেননি।
অথচ, নিজে গণমাধ্যমের সামনে বললেন, ‘আমি গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ায় সব কিছু খুবই ভালো দেখেছি, ওখানে কিন্তু আমি ড্রেসিংরুমে কোনো সমস্যা দেখিনি। এর আগে কথা শুনেছি, কিন্তু আমি নিজে দেখিনি। আমি যেটা বলেছি, তামিমও সেটাই বলেছে। আমি ওদের ডেকে বলেছি, ওদের সঙ্গে বলেছি কোনো সমস্যা আছে কী না? ওরা দুজনেই আমায় আশ্বস্ত করেছে যে এটার সঙ্গে খেলায় কোনো ইম্প্যাক্ট পড়বে না। যাই থাকুক খেলায় কোনো ইম্প্যাক্ট পড়বে না, আমিও ইন্টার্ভিউতে সেটা বলেছি, তামিমও বলেছে।’
বিসিবি সভাপতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন টিম হোটেলে বসেই। সেখানে এর আগে তিনি তামিম-সহ দলের কয়েকজনের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে যদিও ছিলেন না সাকিব আল হাসান। তিনি একটা মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণামূলক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।