নতুন সিরিজ, নতুন কোচ – একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা তাই চলতেই পারে বাংলাদেশের একাদশে। তবে, যতদূূর বোঝা গেল চান্দিকা হাতুরুসিংহের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ম্যাচের একাদশে বড় ধরণের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুব প্রবল নয়।
ওপেন করবেন যথারীতি তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এখানে এই দু’জনের জায়গা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্ত। টপ অর্ডারের জন্য প্রথমবারের মত তৌহিদ হৃদয়কে জাতীয় দলে ডাকা হলেও তিনি এই যাত্রায় চিরাচরিত টপ অর্ডারে খেলার সুযোগ পাবেন না।
চারে খেলবেন সাকিব আল হাসান। তিনি লম্বা সময় দলকে তিন নম্বরে সার্ভিস দিলেও ক’দিন হল জায়গাটা ছেড়ে দিয়েছেন মান্তকে। এর পরের চারটা জায়গা হল আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের। এই চারটা নাম মোটামুটি নিশ্চিত হলেও কে কোন জায়গায় খেলবে সেটা নিশ্চিত নয় – এটা ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সাজাবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
অনেকদিন হল ওয়ানডেতে কন্ডিশন যাই হোক না কেন – তিন পেসার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। তিন পেসার হলেন – তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। এর অর্থ হল ১৪ জনের স্কোয়াড থেকে একাদশের বাইরে থাকছেন তিন জন – তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়।
সব মিলিয়ে একাদশে আট জন ব্যাটার। এই আটজনের মধ্যে দু’জনই অলরাউন্ডার, যারা কিনা পুরো ১০ ওভারই বোলিং করতে পারেন। এর সাথে তিনজন পেসার।
তবে, এখানে একটা ‘কিন্তু’ আছে। বাড়তি একজন ব্যাটার খেলাতে কোনো একজন পেসার জায়গা হারাতে পারেন। সেক্ষেত্রে অভিষেক হতেও পারে তৌহিদ হৃদয়ের। যদিও, সেই সম্ভাবনা কম। সেটা হলে, কার্যত চার বোলার নিয়ে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বাকি ১০ ওভার করবেন পার্টটাইমাররা। তবে, ইংল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে এমন কৌশল স্বাগতিকদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আরেকটা ভাবনা হল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে একাদশের বাইরে রেখে তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক করিয়ে দেওয়া। তবে, সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন রিয়াদ। তাই, হাতুরুসিংহে শুরুতেই হয়তো এতটা হার্ডলাইনে যাবেন না।
- প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল খান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।