সিটির সব রেকর্ডই হাল্যান্ডের!

‘গোল মেশিন’ শব্দটা বললেও যেন আর্লিং হাল্যান্ডকে ব্যাখ্যা করা যায় না পুরোপুরি। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেবার পর থেকে যেন দানবের মত একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন এই নরওয়েজান স্ট্রাইকার।

ম্যানচেস্টার সিটির চরম আরাধ্য যেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, সেই প্রতিযোগিতা নিয়ে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতেই পারে সিটিজেনরা। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে লাইপজিগকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করার ম্যাচে হাল্যান্ড একাই করেছেন পাঁচ গোল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসেরই মাত্র তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে এক ম্যাচে পাঁচ গোলের রেকর্ড করলেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। এর আগে ২০১২ সালে ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি ও ২০১৪ সালে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আদ্রিয়ানো গড়েছিলেন এই কীর্তি।

এই ম্যাচের আগে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির হয়ে নয় ম্যাচে হাল্যান্ডের গোল ছিল মোটে তিনটি। হাল্যান্ডের মত এমন গোল মেশিনের জন্য সেটাকে অফ ফর্মই বলতে হবে। তবে দানবীয় রূপে ফিরতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগকেই বেছে নিলেন হাল্যান্ড। করলেন একের পর এক রেকর্ড।

এই পাঁচ গোল করার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হাল্যান্ডের গোল সংখ্যা এখন ২৫ ম্যাচে ৩০ টি। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে সবচেয়ে দ্রুততম ৩০ গোলের মাইলফলক ছুঁলেন এই স্ট্রাইকার। ভাঙলেন ডাচ ফরোয়ার্ড রুড ফন নিস্টলরয়ের ৩৪ ম্যাচে ৩০ গোল করার রেকর্ড।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করেন হাল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে প্রথমার্ধেই হ্যাট্রিকের রেকর্ড করলেন হাল্যান্ড। এর আগে ১৯৯৬ সালে ও ২০০০ সালে দুইবার এই কীর্তি গড়েছিলেন সাবেক ইতিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কো সিমোনে।

ম্যানসিটির জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে হ্যাট্রিক করা প্রথম ফুটবলারও হাল্যান্ড। এছাড়া সিটির হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও করে ফেললেন এই গোল মেশিন। ৩৯ গোল করে এক মৌসুমে সিটির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন হাল্যান্ড। ভাঙলেন প্রায় শতবর্ষ আগে করা এক রেকর্ড। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে ইংলিশ স্ট্রাইকার টমি জনসনের ৩৮ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন হাল্যান্ড।

এদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডাবল হ্যাট্রিকের রেকর্ডও হয়তো করতে পারতেন হাল্যান্ড। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা ৬৩ মিনিটেই তাকে তুলে না নিলে সেটি সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল।এই মৌসুমে সিটির হয়ে ৩৬ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন হাল্যান্ড।

আর এখনও বাকি মৌসুমের বেশ খানিকটা সময়। তাই নিজের করা রেকর্ডকে তাই কোথায় নিয়ে যেতে পারেন এই নরওয়েজান স্ট্রাইকার সেটিই দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link