বিরাট-রোহিত, কোন্দলের নতুন অধ্যায়

ভারতের দুই তারকা বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার পারস্পরিক দ্বন্দ্বের ঘটনা বেশ পুরনো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক ভারতীয় ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের আত্নজীবনীতে তাঁদের দ্বন্দ্বের ঘটনা উঠে আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরগরম হয়ে ওঠে। এবারে যেন সেই আগুনে ঘিঁ ঢাললেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান। 

আর শ্রীধর তাঁর বইতে লিখেন ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ভারত বিদায় নেবার পরেই মূলত দুজনের মাঝে ঝামেলার শুরু। ভারতের সাবেক প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী নাকি বিশ্বকাপের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন এই দুই ক্রিকেটারের মাঝের ঝামেলা মেটানোর জন্য একসাথে বসেছিলেন।

শ্রীধর তাঁর বইতে লিখেন, ‘বিশ্বকাপ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে আমরা লডারহিলে যাই। যুক্তরাষ্ট্রে যাবার পর প্রথমেই রবি শাস্ত্রী এই দুজনকে নিজের রুমে ডাকেন এবং বুঝানোর চেষ্টা করেন ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে এই দুজনের একত্রে থাকা প্রয়োজন।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘রবি শাস্ত্রী দুজনকে বলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাই হোক কেন, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই তারকাকে এক থাকতে হবে। আমি সবকিছু পেছনে ফেলে সবাইকে নিয়ে সামনে এগোতে চাই।’

অন্যদিকে, ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান এই দুই তারকার ব্যক্তিগত সংঘাতে তেমন সমস্যার কিছু দেখছেন না। তাঁর মতে, এই দুই তারকার মধ্যকার সমস্যা মূলত ভুল বুঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। এক টিভি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মানুষের মাঝে ইগো থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা বছরে প্রায় ২২০ দিন একত্রে থাকি। মানুষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির ঘটনা ঘটেই থাকে। আমরা নিজেরাও সেটার ব্যতিক্রম নই। আমি কেবল বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মার কথা বলছি না, বরং পুরো দলের ক্ষেত্রেই বলছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দলে কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজার মিলিয়ে প্রায় ৪০ জনের মতো সদস্য রয়েছে। মাঝে মাঝে আপনার কারো সাথে ঝামেলা হতে পারে কিংবা আপনি কাউকে পছন্দ না-ই করতে পারেন। এটা ঘটবেই। যখন আবার সবকিছু ঠিকঠাক এগোবে, তখন দলের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক গভীর হবে।’

ভারতীয় ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। গত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ায় সামনে থেকে অবদান রেখেছেন এই দুই তারকা। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপের পর রোহিত শর্মা কোহলি এবং তাঁর স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনফলো করলে তাঁদের মধ্যকার কোন্দলের কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link