ধর্ষণের অভিযোগে স্পেনের কারাগারে দুই মাসের অধিক সময় ধরে আটকাবস্থায় আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা দানি আলভেস। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করলেও আলভেস পালিয়ে যেতে পারেন এমন আশংকায় আদালত সেটা নাকচ করে দেয়। তবে মজার ব্যাপার হলো আলভেসের কারাগারের কয়েদিরা তাঁকে কেন্দ্র করে দারুণ এক ব্যবসা চালু করেছেন।
জামিন নাকচের পর থেকেই আলভেসকে রাখা হয়েছে ব্রায়ান্স ২ কারাগারে। কারাগারের কয়েদিরা বেশ সাদরেই অভ্যর্থনা জানান ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো এই তারকাকে। আলভেস এই কারাগারে স্থানান্তরিত হবার পর কারাগারের ভেতর তাঁর জার্সি অর্ডার করার পরিমাণ বেড়েছে চারগুণ। তবে কিছুদিন যেতেই আলভেসকে কেন্দ্র করে নতুন এক ব্যবসার ফন্দি এঁটেছেন কারাগারের অন্য কয়েদিরা।
কারাগারের ভেতর আলভেস অবসর সময় কাটাতে নিজের জার্সিতে অটোগ্রাফ দিতেন। এরপরই এক কয়েদির মাথায় এক অভিনব আইডিয়া আসে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সে নিজে ঘুরে ঘুরে আলভেসের বার্সেলোনার জার্সি সংগ্রহ করা শুরু করে। এরপর আলভেসের স্বাক্ষর নেয়া হয়ে সেই সেই জার্সি আবার যার যার সেলে ফেরত দিয়ে আসে।
এছাড়া অনেকের পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুবান্ধবরাও তাঁদের জার্সিতে আলভেসের সাক্ষরের জন্য জার্সি পাঠিয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে সেই কয়েদি জার্সিতে স্বাক্ষর নেবার জার্সি কুরিয়ারের মাধ্যমে ফেরত পাঠায়। এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য সেই কয়েদি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি আদায় করে। প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সেই কয়েদি চাইলে কারাগারের দোকান থেকে বিভিন্ন জিনিস কিনে নিতে পারে। টাকা কামানোর কি অভিনব বুদ্ধি!
অন্যদিকে, ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হবার পর থেকেই একের পর এক দু:সংবাদ পাচ্ছেন দানি আলভেস। ইতিমধ্যেই তাঁর স্ত্রী হোয়ানা সাঞ্জ আলভেসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘটনা আরো মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে আলভেসকে।
এক পর্যায়ে নাকি কারাগারের ভেতর খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই তারকা। অন্যদিকে, তাঁর আইনজীবিরা বারবার জামিনের আবেদন করলেও সেগুলো গৃহীত হয়নি। অর্থের জোর খাটিয়ে তিনি স্পেন থেকে পালিয়ে যেতে পারেন এমন আশংকায় তাঁকে জামিন দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আদালত।
গত বছরের শেষদিনে বর্ষবরণ উদযাপনে বন্ধুদের নিয়ে বার্সেলোনার এক নাইটক্লাবে আসেন ব্রাজিলিয়ান তারকা আলভেস। পরের দিনই এক নারী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। কিন্তু আলভেস সে সময় মেক্সিকোতে থাকায় গ্রেফতার হননি, পরবর্তীতে স্পেনে আসার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বারবার নিজের জবানবন্দি বদলেছেন এই তারকা। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় বিপদ তাঁর সামনে, এমনকি ১২ বছরের জেলও হতে পারে আলভেসের।