আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে বোলিং নামার পর ম্যাচে চালকের আসনেই ছিল বাংলাদেশ। বোলাররা চাপটা বজায় রেখেছেন, প্রথম দিনেই অলআউটের শংকায় সফরকারীরা। কিন্তু ৫৯তম ওভারেই ঘটে গেছে এক অঘটন, ক্যাচ ধরতে গিয়ে বিজ্ঞাপনী বোর্ডের সাথে ধাক্কায় ব্যথা পেয়েছেন তামিম ইকবাল। আপাতত তাই মাঠের বাইরে আছেন এই তারকা ওপেনার।
ম্যাচের ৫৯তম ওভারের প্রথম বলেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। তাইজুলের লেগ স্ট্যাম্পে ফুল লেংথের ডিপ মিড উইকেটের মাথার উপর দিয়ে খেলতে যান অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। ফিল্ডিংয়ে থাকা তামিম দৌড়ে গিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু, নিজের সেরাটা দিলেও ছয় বাঁচাতে পারেননি। আর ক্যাচ ধরতে পারলে সেটা হতে পারত, এই সময়েরই অন্যতম সেরা ক্যাচ। সেটা তো হয়নি, বরং শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান বাউন্ডারির পাশেই থাকা বিজ্ঞাপনী বোর্ডের উপর।
বাম হাতের কনুইতে আঘাত পেয়ে মাঠেই কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলেন তামিম। কিছুক্ষণ পর ফিজিওর সহায়তায় মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এই তারকাকে। টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে মাঠের বাইরে যাওয়া অবস্থায় তামিমের যন্ত্রণাকাতর মুখ। তামিমের ব্যাথাটা এতটাই গুরুতর যে, তাঁর ব্যাটিংয়ে নামা নিয়েও আছে শঙ্কা।
অবশ্য সুযোগ পেয়েও নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি আইরিশ ম্যাকব্রাইন। পরের ওভারেই এবাদত হোসেনের বলে পরাস্ত হয়ে মুমিনুল হকের সহজ ক্যাচে পরিণত হন এই ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে অবশ্য ৫৫ বলে ১৯ রান করেন ম্যাকব্রাইন।
গত কয়েক মাসে অবশ্য সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের। ব্যাটে রান নেই আগের মতো, ফিটনেসেও কোথাও যেন ঘাটতি। ইনজুরি মাথাচাড়া দিচ্ছে বারবার। অথচ বিশ্বকাপের বছরে তাঁর ফর্মে থাকাটা ভীষণ জরুরি বাংলাদেশের জন্য।
সেই কারণেই কিনা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টকেই তামিমের জন্য রানের ফেরার সুবর্ণ সুযোগ ভেবেছিলেন সবাই। কিন্তু প্রথম দিনেই ব্যথা পেয়ে তামিম যেন সবার দুশ্চিন্তা বাড়ালেন। যদিও এখনো পর্যন্ত তাঁর ব্যথা কতটুকু গুরুতর সে ব্যাপারে জানা যায়নি।
দিনের শুরু থেকেই অবশ্য ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলছে বাংলাদেশ। তিন পেসার আর আক্রমণাত্নক ফিল্ডিং সেটাপে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। শরীফুল ইসলাম, এবাদত হোসেনদের পেসে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে আইরিশ ব্যাটারদের। এরপরে যোগ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম, তাঁর স্পিন ঘূর্ণিতেই নাকাল আইরিশ মিডল অর্ডার।
যদিও মাঝে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন হ্যারি টেক্টর এবং কার্টিস ক্যাম্ফার। দুজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। কিন্তু ইনিংস বড় করার সুযোগ না দিয়েই তাঁদের দুজনকে ফেরান দুই স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। টেক্টর ৫০ রান করে অভিষেকেই ফিফটির দেখা পেলেও ক্যাম্ফারকে ফিরতে হয়েছে ৩৪ রানে।