আম্পায়ারিং – ঘরোয়া ক্রিকেটের পুরনো সমস্যা। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সেই সমস্যাটাই আবারও যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। বিকেএসপিতে ঘটে গেল এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
চার নম্বর মাঠে অগ্রনী ব্যাংকের বিপক্ষে ব্যাট করছিল মোহামেডান। বোলিংয়ে আবু হায়দার রনি। ব্যাটিংয়ে আরিফুল হক। হঠাৎ জোড়ালো একটা কট বিহাইন্ডের আবেদন। যদিও, উইকেট রক্ষক অনিক লুফে নেওয়ার আগে বলটা একবার মাটিতে ড্রপ করে।
তবে, আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান আঙুল তুলে দেন। মাঠেই প্রতিবাদ করেন মোহামেডানের আরিফুল, সাথে সঙ্গী শুভাগত হোম। আম্পায়ারের সাথে গিয়ে কথা বলেন তাঁরা। লেগ আম্পায়ারের সাথে পরামর্শ করেন আম্পায়ার মাহফুজুর। আর আরিফুলরাও ছিলেন নাছোড়বান্দা।
এই সময় মাঠের বাইরেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। মোহামেডানের এক কর্মকর্তা উইকেটরক্ষক ও আম্পায়ারকে গালিগালাজ করতে থাকেন অকথ্য ভাষায়।
অবশ্য এই সময় পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়। আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।
মোহামেডান শিবিরে তখনও অবশ্য উত্তেজনা ছিল। গালি শোনা যাচ্ছিল তখনও। উইকেটরক্ষককে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তবে, ওই সময় এগিয়ে আসেন আরাফাত সানি, অগ্রনী ব্যাংকের বর্ষিয়ান ক্রিকেটার।
তিনি মাঠ থেকেই বলেন, ‘আপনি উইকেটকিপারকে কিছু বলতে পারেন না। যা বলার আম্পায়ারকে বলেন। আমাদের বলে কি লাভ!’ এই ঘটনা এখানেই শেষ, খেলা আবার মাঠে গড়ায়।
আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া আম্পায়ার মাহফুজুর রহমানের বিপক্ষে এমন অভিযোগ কিন্তু নতুন কিছু নয়। গেল আসরে যেদিন সাকিব আল হাসান মাঠেই আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মেজাজ হারান, সেদিনও মাঠেই ছিলেন তিনি। তখন ছিলেন লেগ আম্পায়ারের দায়িত্বে। সেই ম্যাচে সাকিব এই মাহফুজের সাথেও তর্কে জড়ান।
আর বলে না দিলেও চলে যে, সাকিব সেদিন মোহামেডানের হয়েই খেলছিলেন।