অবশেষে প্রতিক্ষীত জয়ের দেখা পেল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। টানা দুই ম্যাচ হেরে পরাজয়ের বৃত্তে আটকে থাকা হায়দ্রাবাদ জয়ের ধারায় ফিরল পাঞ্জাব কিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে। আর তাতে এ বারের আসরে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দারুণ শুরু করা পাঞ্জাব কিংস পেল প্রথম পরাজয়ের স্বাদ।
টসে জিতে এ দিন প্রথমে পাঞ্জাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠান সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। প্রোটিয়া এ অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়ে শুরু থেকেই পাঞ্জাবের ব্যাটারদের চেপে ধরে হায়দ্রাবাদের বোলাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই প্রাভসিমরান সিংকে ফিরিয়ে বোলিংয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন ভূবনেশ্বর কুমার।
পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্প শুরু সেখান থেকেই। পরের ওভারেই ম্যাথু শর্টকে ফিরিয়ে দেন মার্কো জেনসন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। ক্রমাগত ব্যাটিং ব্যর্থতায় একটা পর্যায়ে ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার প্রান্তেই দাঁড়িয়ে ছিল পাঞ্জাব।
তবে পাঞ্জাবের ইনিংসকে সংহত করার লক্ষ্যে একাই খেলে গিয়েছেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। হায়দ্রাবাদের বোলারদের বিপক্ষে একাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথমে দলীয় রান ১০০ টপকে, এরপর সেই সংগ্রহ কিছুটা এগিয়ে দিয়ে দলকে ১৪৩ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন শিখর ধাওয়ান।
খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার দিনে শিখর ধাওয়ান নিজেও খেলেছেন দুর্দান্ত একটি ইনিংস। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এ ব্যাটার। খানিকটা ভাগ্যের সহায়তা পেলে তুলে নিতে পারতেন সেঞ্চুরিও। তবে ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়েও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় ৯৯ এ থামতে হয় ধাওয়ানকে।
১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য। সে লক্ষ্য টপকাতে হায়দ্রাবাদকেও তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি। তবে শুরুতে পাঞ্জাবের বোলাররা কিছুটা পরীক্ষাই নিয়েছিল বটে। দুই ওপেনার হ্যারি ব্রুক আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল ফিরে যান দ্রুতই। তবে তাতে দলের তেমন বিপত্তি ঘটেনি।
লক্ষ্যের পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠি আর এইডেন মারক্রাম। এ দুই ব্যাটারের নিরবচ্ছিন্ন ১০০ রানের জুটিতে ১৭ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। রাহুল ত্রিপাঠি শেষ পর্যন্ত ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আর অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম ত্রিপাঠিকে সঙ্গ দিয়েছেন ২১ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে।