‘ডোন্ট কেয়ার’ মানসিকতার সাফল্য

আইপিএলের নিলামের টেবিলে ঝড় তুলেই আইপিএলে আগমনের জানান দিয়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। বিশ্ব ক্রিকেটেই ইতোমধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন হ্যারি ব্রুক। তাকে দলে পেতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ১৩ কোটি রুপির বেশি খরচ করাও সেই কথাই বলে। এমন চড়া মূল্যে নিলামে বিক্রি হবার পর তাঁর ওপর প্রত্যাশা চাপটা যে অনেক বেশি থাকবে সেটিই স্বাভাবিক।

হলোও তাই। আইপিএলের এবারের আসরের শুরুর দিকের ম্যাচ গুলোতে প্রত্যাশামত পারফর্ম করতে না পারায় সমালোচনা ধেয়ে আসছিলো চারদিক থেকেই। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই বিশাল এক প্রত্যাশার চাপ নিয়েই আইপিএল খেলছিলেন ব্রুক। প্রথম তিন ম্যাচে ১৩, ৩, আর ১৩ রানের ইনিংস খেলে নিজেকেই চাপে ফেলছিলেন ব্রুক। তবে গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ইনিংস ওপেন করতে নেমেই যেন নিজের জাত চেনালেন তিনি।

৫৫ বলে নিজের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরিতে দলকে এনে দিলেন প্রথম জয়। কলকাতাকে তাদেরই মাঠে ২৩ রানে হারায় হায়দ্রাবাদ। পিএসএলে দুর্দান্ত খেলে আইপিএলে এসে টানা ব্যর্থ হওয়ায় ব্রুক পড়েছিলেন আরো বেশি সমালোচনার মুখে। অনেক ভারতীয় সমর্থকই পিএসএলে পারফর্ম করা ব্রুককে ‘ওভাররেটেড’ তকমা দিতেও পিছপা হননি।

এমনকি ব্রুকের কারণে অনেকে পিএসএলের মান নিয়েও তুলেছিলেন প্রশ্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব সমালোচনা চোখ এড়ায়নি ব্রুকের। সব সমালোচনার জবাব দিতে পেরে খুশি তিনি।

ম্যাচ শেষে ব্রুক বলেন, ‘প্রথম কয়েকটা ম্যাচের পর আমি নিজের ওপর কিছুটা চাপ নিয়ে নিচ্ছিলাম। যখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেতাম সেখানে দেখতাম লোকজন আমাকে “রাবিশ” বলছে। তখন নিজেকে নিয়ে কিছুটা দ্বিধা তৈরি হয়। আজকে মাঠে নামার সময় আমি ডোন্ট কেয়ার মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম এবং এটি কাজে লেগেছে।’

সেঞ্চুরি করার পর ব্রুকও ভারতীয় সমর্থকদের ছাড় দেননি। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সমর্থকদের অনেকেই আজকে আমাকে বলবেন ‘ওয়েল ডান’। তবে তারাই কয়েক দিন আগে আমাকে ধুয়ে দিচ্ছিলেন। সত্যি বলতে তাদের চুপ করিয়ে দিতে পেরে আমি খুশি।’

নিজের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করে সফল হওয়ায় দারুণ খুশি তিনি, ‘আজকের রাতটা বিশেষ ছিলো। সৌভাগ্যবশত আমরা ম্যাচটাও জিতেছি। অনেকেই বলে টি টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করাটাই সবচেয়ে ভালো। যদিও যেকোনো জায়গায় ব্যাট করতেই আমি রাজি। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেও আমি অনেক সফলতা পেয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link