তারকায় ঠাসা স্কোয়াড। প্রায় প্রতিটি পজিশনেই রিয়াল মাদ্রিদের আছে বিশ্বমানের সব খেলোয়াড়। নজর কাড়তে হলে তাই করতে হবে অসাধারণ কিছুই। দলের ফরোয়ার্ড লাইনে যখন করিম বেনজেমাক্স ভিনিসিয়াস জুনিয়রের মত তারকারা থাকেন তখন মধ্যমাঠ আর রক্ষণের খেলোয়াড়রা কিছুটা আড়ালেই পড়ে যান। তবে এর মধ্যেও নিজেকে আলাদা ভাবেই চেনাচ্ছেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। মাত্র বিশ বছর বয়সেই রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণ হয়ে উঠেছেন এই ফুটবলার।
মধ্যমাঠে প্রতিপক্ষের আক্রমণ নষ্ট করা কিংবা মাঠের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সাথে যুগল বন্দিতে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ত্রাস ছড়ানো; দুই ক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত নিজের মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন কামাভিঙ্গা। যেকোনো পজিশনেই মানিয়ে নিতে পারায় কোচের কাজটা করে দিয়েছেন আরো সহজ।
শিষ্যের মাঠের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। কামাভিঙ্গা যে তাঁর কাজ কতটা সহজ করে দিয়েছেন সেটি স্বীকার করতেও ভোলেননি তিনি। শিষ্যকে তুলনা করলেন ফেরারি ইঞ্জিনের সাথে।
আনচেলত্তি বলেন, ‘কামাভিঙ্গা অন্য তরুণ খেলোয়াড়দের মত উন্নতি করছে এবং ফুলব্যাক হিসেবে খেলার জন্য যে সময় সে পাচ্ছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির চেষ্টাও করছে। সে তরুণ। ট্যাকটিকাল দিক থেকে তার আরও পরিণত হতে হবে; কারণ, টেকনিকালি তার আর কিছু শেখার নেই। শারীরিকভাবে সে ফেরারি ইঞ্জিনের মতে, সিনকুইসেন্টোর মত নয়।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেও লা লিগার শিরোপা হাতছাড়া হওয়া প্রায় নিশ্চিত রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও অপেক্ষা করছে ম্যানসিটি বাঁধা। তবে রিয়াল কোচ আশাবাদী ভালো ভাবে মৌসুম শেষ করবে তাঁর দল।
আনচেলত্তি বলেন, ‘মৌসুমে ডাবল জেতা সহজ নয়। সত্যি কথা হচ্ছে, এমন দল আছে, যারা লা লিগাকে জটিল মনে করে এবং সব মনোযোগ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় রাখে। আমাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন নয়। কিন্তু এটা হতে পারে। লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা বেশ জটিল।’
ক্যাসেমিরো চলে যাবার পর রিয়াল ভক্তরা রিয়ালের মিডফিল্ড নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু রিয়ালের ভবিষ্যতে যে দারুণ কিছু হতে চলেছে সেটিই বোঝাচ্ছেন কামাভিঙ্গা, ভিনিসিয়াস, রদ্রিগোর মত খেলোয়াড়রা।