ওয়ানডে ফরম্যাটে সুযোগ পেয়েছেন খুব কম। সেই ম্যাচ গুলোতে পান থেকে চুন খসলে পারফরম্যান্স ছেড়ে চারদিকে তাঁর শারীরিক গড়ন নিয়ে সমালোচনা। কিন্তু ইয়াসির আলী রাব্বির কি এতটা সমালোচনা আসলে প্রাপ্য? তবে কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে রাব্বির ওপর ভরসা রাখছেন। বিশ্বকাপে দলের মহাগুরুত্বপূর্ণ সাত নম্বর পজিশনের জন্য ভালো ভাবেই বিবেচনায় আছেন তিনি। সিলেটের অনুশীলন ক্যাম্পেও তাই বেশ ঘাম ঝড়িয়েছেন চট্টলার এই ব্যাটার।
গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকের পর মাত্র নয়টি ওয়ানডে খেলেছেন ইয়াসির আলী। প্রথমে পাঁচ নম্বর পজিশনের জন্য তাকে বিবেচনা করেছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট। অভিষেক সিরিজে খুব একটা কিছু করতে না পারলেও পরের সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নিজের সামর্থ্যের জানান দেন ইয়াসির। দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪৩ বলে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক করেন তিনি।
সাকিবের সাথে রাব্বির দারুণ এক পার্টনারশিপেই দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে যেকোনো ফরমেটে প্রথম জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। ওই সিরিজের পরেই ইনজুরিতে পড়েন রাব্বি। ইনজুরির কারণে বেশ লম্বা একটা সময় দলের বাইরে থাকতে হয় রাব্বিকে। এরপর তিনি আবার দলে ফেরেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে। সেখানে কোচ হাতুরুসিংহে তাকে দেন নতুন রোল।
আফিফের বদলে সাত নম্বরে বিবেচনা করা হয় রাব্বিকে। প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগ পেলেও ব্যাটিংয়ে নেমে খুব বেশি কিছু করার ছিলো না রাব্বির। তবে হাতুরু আস্থা রেখেছেন রাব্বির ফিনিশিং অ্যাবিলিটিতে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এওয়ে সিরিজের দলেও আছেন এই ব্যাটার।
নতুন রোলে নিজের সেরাটা দিতে রাব্বি যে মুখিয়ে আছেন তা বোঝা গেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ ক্রিকেটেই। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও উপরের দিকে ব্যাট করেননি রাব্বি। লোয়ার মিডল অর্ডারে নিজেকে মানিয়ে নিতে ব্যাট করছেন ছয় বা সাত নম্বরে।
ওই পজিশনে বেশ ভালো কিছু ইনিংসও খেলেছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর এবার সিলেটের ক্যাম্পেও নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছেন এই ব্যাটার। অনুশীলন ক্যাম্পের শেষ দিনও নেটে বেশ সিরিয়াস দেখা গেলো রাব্বিকে। সিলেটের ক্যাম্পে যেকয়জন ব্যাটার সবচেয়ে বেশি ঘাম ঝড়িয়েছেন তাদের একজন রাব্বি।
সাত নম্বর পজিশনে ব্যাট করাটা এমনিতেই কঠিন। বেশিরভাগ সময় ‘ডু অর ডাই’’ সিচুয়েশনে ব্যাট করতে হয় এই পজিশনে। এদিকে আবার রাব্বি দলে এসেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেনদের বদলি হিসেবে। তাই বিশাল পরিমাণ চাপ নিয়েই মাঠে নামতে হবে রাব্বিকে। তবে বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে চাপকে তো জয় করা শিখতেই হবে ইয়াসিরের।