আইপিএলের সদ্য সমাপ্ত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এবারের আইপিএল শুরুর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল মিনি নিলাম। যেখানে সাড়ে ১৮ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছিল স্যাম কুরান। আইপিএল ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পেয়েছিল বড় অঙ্কের অর্থ। তবে কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে যারা কম মূল্য পেলেও পারফরম্যান্সে করেছেন বাজিমাত।
- আজিঙ্কা রাহানে (চেন্নাই সুপার কিংস)
৫০ লাখ রুপিতে আজিঙ্কা রাহানেকে দলে ভিড়িয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। আসরে ১০ ম্যাচে এই ব্যাটার করেছেন ২৯৯ রান। যেখানে স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৭০। বেন স্টোকসের ইনজুরির পর রাহানে ছিলেন দলের আস্থা। দুইটি ম্যাচে করেছিলেন ম্যাচ জেতানো অর্ধশতক।
- ইশান্ত শর্মা (দিল্লী ক্যাপিটালস)
এবারের আইপিএলে ৫০ লাখ রুপিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন ইশান্ত শর্মা। ফাইনাল ওভারে ১২ রান আটকে নিশ্চিত করেছিলেন দলের জয়। আসরে ওভারপ্রতি খরচ করেছিলেন ৮.২৪ রান।
- মোহিত শর্মা (গুজরাট টাইটান্স)
এবারের আইপিএলে বড় চমক মোহিত শর্মা। ৫০ লাখ রুপির এই বোলার নিয়েছেন ২৪ উইকেট। ২০২০ সালের পর মাঝের দুই আসরে হয়নি খেলা। প্রত্যাবর্তনে ওভার প্রতি খরচ করেছেন ৭.৮৯ রান। টূর্ণামেন্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন একবার।
- নাভিন উল হক (লখনৌ সুপার জায়ান্টস)
সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে দুই কারণে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নাভিন উল হক। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৭.৮২ রান। দ্বিতীয় কারণ ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে। মিনি নিলামে এই বোলার বিক্রি হয়েছিল ৫০ লাখ রূপিতে।
- সুয়াশ শর্মা (কলকাতা নাইট রাইডার্স)
এবারের আইপিএলে কলকাতা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সুইয়াশ শর্মা। ২০ লাখ রুপির এই বোলার ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৮.২৩ রান। ১১ ম্যাচে ১০ উইকেট সংখ্যা চোখে কম লাগলেও তিনি উইকেট পেয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
- নেহাল ওয়াধেরা (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)
২০ লাখ রুপিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন নেহাল ওয়াধেরা। ১০ ম্যাচে করেছিলেন ২৪১ রান। স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৫০। বাঁহাতি এই ব্যাটার আসরে অর্ধশতক করেছেন ২টি।
আইপিএল মানেই চাকচিক্য। এখানে কোটি রুপিতে যেমন বিক্রি হয় খেলোয়াড়। তেমনি বিক্রি হয় লাখ টাকাতে। তবে এই ক্রিকেটাররা রয়েছে যারা কম দামে বিক্রি হলেও পারফরম্যান্স করেন দারুণ। দলের জয়ে অবদান রাখেন সময়ের সাথে। ভবিষ্যতে এসব খেলোয়াড় হয়ে যান জাতীয় দলের মধ্যমণি।