‘অপ্রস্তুত’ পিচে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল?

টেস্ট ক্রিকেটে সেরা দল হওয়ার পথে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের দ্য ওভালে চলছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই। ভারতের বিপক্ষে বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগে এগিয়ে অজিরা।

ওভালের সবুজ পিচ আর ডিউক বল। মিলেমিশে যেন একাকার। স্বাভাবিকভাবে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে পেসাররা। গতি আর বাউন্সে ব্যাটারদের শাসন করছেন শামি, সিরাজ, স্টার্ক, কামিন্সরা। চতুর্থ দিনেও দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত বাউন্স। আবার অনেক সময় বল স্বাভাবিকের তুলনায় নিচু হয়ে যাচ্ছিল। আর এ নিয়েই আপত্তি তুলেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর।

তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে আসেন মার্নাস লাবুশনে। সেই ওভারে সিরাজের বাউন্স বলে হাতে আঘাত পেয়েছেন এই ব্যাটার। ক্রিকেটে বাউন্সে আঘাত পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তবে বল যে জায়গা থেকে বাউন্স করেছে, তেমনটি সাধারণত হয় না।

বাউন্সের ঘটনায় একটিতে সীমাবদ্ধ থাকলে আলোচনা হতো আরও স্বাভাবিক। দ্বিতীয় দিনে বিরাট কোহলি আউট হয়েছিলেন বাউন্স বলেই। বল যে জায়গা থেকে তার মাথা পর্যন্ত উঠেছিল, তা আস্বাভাবিক বটে।

ব্যাট করাকালীন সময়ে আঘাত পেয়েছেন আজিঙ্কা রাহানে ও কেএস ভরত। বলগুলো যে লেন্থে ছিল, সে জায়গা থেকে এমন বাউন্স সাধারণত ব্যাটাররা চিন্তা করেন না।

প্যাট কামিন্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ভুগেছেন শার্দুল ঠাকুর। এক ওভারে হাতে আঘাত পেয়েছেন দুইবার। দুইটি বলেই ছিল অতিরিক্ত বাউন্স। বল কখনও স্বাভাবিকের চেয়ে বাউন্স করেছে, আবার কখনও নিচু হয়েছে। এসব দেখেই শার্দুলের মনে হয়েছে পিচটি পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

চতুর্থ দিনের শুরুতেও দেখা মিলেছে এমন বাউন্স। ধারাভাষ্য থেকে বলা হচ্ছিল ‘ আন ইভেন বাউন্স’। টেস্ট ক্রিকেটে এমন পিচ ব্যাটারদের জন্য বিপদজনক।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শার্দুল বলেন, ‘এবারে পিচ অন্যরকম। আমরা সবশেষ বার যখন খেলেছিলাম, তখন পিচ সাহায্য করেছিল। এবার তৃতীয় দিনেও বল কখনও উপরে যাচ্ছিল আর  কিচু নিচু হচ্ছিল। যা সাধারণত হয় না। আমার মনে হচ্ছে পিচ ম্যাচের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।’

শার্দুল আরও বলেন, ‘একপ্রান্ত থেকে বলটি ভালো লেন্থে পড়ার পর দ্রুত উঠছিল এবং অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা তা ভালোভাবে ব্যবহার করেছিল। আমরা যদি একদিন আগের খেলা দেখি, তাহলে পিচের মেজাজ বদলে গেছে। বলগুলো খেলবে নাকি ছেড়ে দিবে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগতে হয়েছে। বেশিরভাগ সময় ঝুঁকি নিয়েই শটের জন্য খেলতে হয়েছে।’

শার্দুল এই পিচে ব্যাট করেছে প্রায় তিন ঘন্টা। খেলেছেন অর্ধশত রানের ইনিংস। সামাল দিতে হয়েছে প্রতিপক্ষ দলের গতি আর অনাকাঙ্খিত বলগুলো। শার্দুলের অভিযোগ শেষ পর্যন্ত আইসিসি কতটা আমলে নেয়, তা তো সময়ে বলবে। তবে এমন খেলাতে বিতর্কহীন আয়োজন করা উচিত সংস্থাটির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link