বিশ্ব বাস্তবতায় বর্তমান যুগটা অনেকটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। ক্রিকেটও এর বাইরে নয়। সাবেক কিংবা বর্তমান খেলোয়াড়রা বিভিন্ন ইস্যুতে মাঝেমধ্যেই বেশ সরব হয়ে উঠেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে যেন এই প্রবণতাটা আরো বেশি। বিশ্বজুড়ে অনেক ক্রিকেটারই জাতীয় দলের বাইরে থাকাকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন বক্তব্য কিংবা অনুশীলনের ভিডিও শেয়ার করে নিজের ফিরে আসার জানান দিতে চান।
এমন ঘটনা ঘটিয়ে অনেকে আবার সমালোচিত হন। নিজের স্কিলের উন্নতির দিকে মনযোগ না দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির প্রয়াস প্রায়শই সমালোচিত হয়। অনেকটা এমন ঘটনাই ঘটেছে পাকিস্তানে।
পাকিস্তানের সাবকে ক্রিকেটার রশিদ লতিফ এক প্রকার খোঁচাই দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে। যদিও নিজের বক্তব্যে শেহজাদের নাম কোথাও উল্লেখ করেননি রশিদ। কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে মোটেও সমস্যা হয়নি নেটিজেনদের। সেই ওপেনার যে আহমেদ শেহজাদ, তা নিয়ে সন্দেহ নেই আর কারো।
ইউটিউবে দেয়া নিজের বক্তব্যে রশিদ জানান, অনেক কম স্ট্রাইকরেট হওয়া সত্ত্বেও এক ওপেনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন বিভিন্ন কর্মকান্ডে।
রশিদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনি অনেক কিছুই দেখবেন যেমন অনেক খেলোয়াড়ই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিছুদিন ধরে এই ধরণের কাজ করছে একজন ওপেনার যার স্ট্রাইক রেট খুবই বাজে, ৭০ এর আশেপাশে। কিন্তু অনেক মানুষই তাকে সমর্থন যোগাচ্ছে। আমরা মিডিয়াতে এসে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না কারণ তারাও আমাদের মতই খেলোয়াড়।’
গত কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলে ফেরার জন্য করা নিজের অনুশীলনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিচ্ছেন আহমেদ শেহজাদ। যার কারণে বেশ বিরক্ত রশিদ। ওয়ানডেতে শেহজাদের স্ট্রাইক রেট ৭২.০৮। আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এত কম স্ট্রাইক রেট নিয়ে দলে ফেরা যায়না বলেও মনে করেন রশিদ।
রশিদের এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন শেহজাদও। ইউটিউবের একটি পডকাস্টে শেহজাদ জানান, তাঁর এমন কম স্ট্রাইকরেটের কারণ ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ ম্যাচই তিনি খেলেছেন আবুধাবি আর শারজাহতে।
আরব আমিরাতে ব্যাটারদের জন্য কন্ডিশন বেশ কঠিন বলেও মনে করেন শেহজাদ। যার কারণে তাঁর ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেট এতটা কম। তবে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার পর পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা নিজেদের স্ট্রাইকরেট বাড়িয়ে নেবার সুযোগ পাচ্ছেন বলেও মনে করেন সাবেক এই ওপেনার।