বিশ্বকাপে নতুন কৌশল হাতুরুর

বিশ্বকাপের দিনক্ষণ চূড়ান্ত। কবে কার সাথে কার খেলা এটা ইতোমধ্যে নিজের মত করে সাজিয়ে ফেলেছেন সকলে। সেদিক থেকে কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেও নিশ্চয়ই দারুণ ব্যস্ত নিজের দল সাজিয়ে নিতে। ম্যাচের ভেন্যুও ইতোমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে। এবার তবে চান্দিকা কন্ডিশনের হিসেব কষেও দলের একটা খসড়া করে ফেলতেই পারেন।

তবে জোর গুঞ্জন আছে, এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অতিরিক্ত তিনজন খেলোয়াড়কে দলের সাথে নিয়ে যাবে ভারতে। সচরাচর বাংলাদেশ দলকে এমনটা করতে দেখা যায় না। মূলত স্ট্যান্ডবাই থাকা খেলোয়াড়দের দলের সাথেই রাখা হবে পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে।

সাধারণত দলে থাকা কোন খেলোয়াড় ইনজুরি আক্রান্ত হলে, অতিরিক্ত থাকা খেলোয়াড়কে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বকাপ আয়োজক দেশে। সেদিক থেকে খানিকটা বিপাকেই পড়তে হয় সদ্য যুক্ত হওয়া সদস্যকে। কেননা অল্প সময়ের মাঝেই তাকে কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। সেটা বেশ দুষ্কর। আর বিশ্বকাপের মত মঞ্চে বিষয়টা আত্মঘাতি।

যদিও ভারতের কন্ডিশন আর বাংলাদেশের তারতম্য নেই খুব একটা। তবুও এবার সেই খেলোয়াড় বয়ে নিয়ে যাওয়ার রীতি শুরু করতে চাইছেন কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। বেশ আগে থেকে এই নীতি অবলম্বন করে আসছে অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মত প্রথম সারির দলগুলো।

আগামী সেপ্টেমবরের মধ্যে আইসিসিকে ১৫ সদস্যের দল জানিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। সে সাথে অতিরিক্ত থাকা তিন জন খেলোয়াড়ের বৃত্তান্তও থাকতে হবে আইসিসির কাছে। দলের যেকোন প্রয়োজনে যেকোন সময় তাদেরকে ব্যবহার করা হবে।

অবশ্য ইতোমধ্যে কোচ চান্দিকা নিজের পছন্দের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখছেন তিনি। তাছাড়া বাংলাদেশ ‘এ’ কিংবা ইমার্জিং দলের হয়ে খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ করে দিচ্ছেন হাতুরু। যাতে করে অন্তত সব খেলোয়াড়কেই বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষা করে নেওয়া যায়।

খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবার বেশ সতর্ক অবস্থানেই রয়েছে। খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবার সময় নেই, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট তেমনটা করতেও চাইছে না। হাতে থাকা বিকল্প গুলোকে স্রেফ শেষবারের মত দেখে নেওয়ার প্রয়াসটাই করছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নটা বেশ বড়। কেননা অভিজ্ঞতায় ভরপুর একটা দল নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। তাছাড়া ভারতের চেনা কন্ডিশন খানিকটা বাড়তি ভরসা জোগাচ্ছে। তাইতো হাতুরু কোন প্রকার ভুল করতে চাইছেন না। সে কারণেই সম্ভবত স্ট্যান্ডবাই থাকা খেলোয়াড়দেরও দলের সঙ্গে নিতে চাইছেন তিনি।

যেন দলের প্রতিটা পরিকল্পনার অংশ হতে পারেন তারা। এছাড়াও দলের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানও হয়ত রাখতে পারবেন সাথে করে নিয়ে যাওয়া অতিরিক্ত তিনজন ক্রিকেটার। বড় দলের মত করেই যেন চিন্তা করতে চাইছে বাংলাদেশ দল। এখন শুধু মাঠের ক্রিকেটে বড় কিছু করে দেখানোর পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link