‘অল ইট টেকস ওয়ান ডে’ শিরোনামে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসির প্রকাশিত প্রোমো ভিডিও নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল আগেই। বিশেষত, পুরো ভিডিওতেই উপেক্ষিত করা হয়েছে বাংলাদেশকে।
তাছাড়া, ভিডিওর পুরোটাই ভারত কেন্দ্রিক হওয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখ পড়েছিল বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি। এবার ২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের সেই প্রোমো ভিডিও নিয়ে টুইটারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।
মূলত, এবারের বিশ্বকাপের প্রোমোতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে গুরুত্ব পায়নি পাকিস্তানও। প্রোমোতে পাকিস্তানের সমর্থক, জার্সি, তাদের ম্যাচের ছবি দেখানো হলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখানো হয়নি বাবর আজমকে। অথচ এই বাবর আজমই পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক।
শুধু তাই নয়, আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে তিনিই নাম্বার ওয়ান ব্যাটার। তারপরও বৈশ্বিক এ আসরের প্রোমো ভিডিওতে এক সেকেন্ডের জন্যও দেখা মেলেনি তাঁকে। আর এতেই ক্ষেপেছেন শোয়েব আখতার। নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়াও।
আইসিসির কড়া সমালোচনা করে তিনি জানিয়েছেন, ‘কে ভেবেছিল, ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রোমোতে পাকিস্তান আর বাবর আজমের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যায়নও থাকবে না। এটা আসলে হাস্যকর ব্যাপার। ওরা নিজেরা জোকার হিসেবে এটা প্রকাশ করেছে।’
অবশ্য ভিডিওতে বাবর আজম না থাকলেও ছিলেন শাহীন শাহ্ আফ্রিদি। ২০১৯ বিশ্বকাপে তাঁর একটি সেলিব্রেশনের দৃশ্য জায়গা পেয়েছে ভিডিওতে। তবে আইসিসির প্রকাশিত এ ভিডিও জুড়েই ছিল ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য।
১৯৮৩ ও ২০১১- তাদের দুই বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তই উঠে এসেছে ভিডিওতে। কিন্তু দেখা মেলেনি, ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত।
বাবর আজমের মতো এ ভিডিওতে ঠাই পাননি বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সফল অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। অথচ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১০০০-এর বেশি রান ও ৩০-এর বেশি উইকেটের কীর্তি রয়েছে একজনেরই। তিনি সাকিব।
একইভাবে, বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া নেদারল্যান্ডসকেও সেভাবে ভিডিওতে রাখা হয়নি। ২০১১ বিশ্বকাপে জাতীয় সঙ্গীতের একটি ক্লিপ ছাড়া ডাচদের দেখা যায়নি কোনভাবেই। কিন্তু সমৃদ্ধ ইতিহাসের বদৌলতে আসন্ন বিশ্বকাপে জায়গা না পেয়েও ঠাই হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালি সময়ের কিছু মুহূর্তের।
বিশ্বকাপের এ প্রোমো ভিডিওতে বড় আকর্ষণ ছিলেন বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান। পুরোটা সময় শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠ। শেষটাও হয়েছে তাঁর উপস্থিতিতে। তাঁর স্বরেই ‘ইট টেকস ওয়ান ডে’ স্লোগানে শেষ হয় ভিডিওটি।