সম্ভাব্য অধিনায়ক, টপ অর্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, স্টাইলিশ ব্যাটার – সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে এখন অন্যতম বেশি উচ্চারিত নাম লিটন দাস। আসন্ন এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপে লিটনকে নিয়ে লাল-সবুজের প্রত্যাশা অনেক বড়; এবার অবশ্য মাঠের লিটনকে দেখা গেলো পাঁচ তারকা হোটেলে। আর সেখানে উপস্থাপিকার অনুরোধে পছন্দের বিশ্বসেরা একাদশের কথা জানিয়েছেন এই ওপেনার।
ঢাকার এক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে মানিগ্রাম ফাইন্যান্স সার্ভিসের প্রোগ্রাম, যেখানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন লিটন দাস। সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী ব্যাটারকে তাঁর পছন্দের একাদশ গড়তে বলা হয়, খুশিমনে লিটনও জানান তাঁর স্বপ্নের দলের কথা।
অবশ্য লিটন দাসের সর্বকালের সেরা একাদশে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের; তবে লিটন নিজেকে সেই দলের অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক হিসেবে রেখেছেন। যদিও এর কারণ আছে, প্রশ্ন করার সময়েই বলে দেয়া হয়েছিল যদি লিটন অধিনায়ক হতো তবে কিভাবে গড়তেন নিজের দল।
বাংলাদেশি এই তারকার একাদশে রয়েছে সনাথ জয়সুরিয়া, মুত্তিয়া মুরালিধরন, বীরেন্দর শেবাগ, ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাস, শেন ওয়ার্নদের মত কিংবদন্তিরা। ব্যাটিং বোলিং দুই বিভাগেই বড় বড় নামে পরিপূর্ণ এক দলই বানিয়েছেন লিটন। তিনি ব্যাটসম্যান হওয়াতেই হয়তো দলে বোলারের সংখ্যা বেশি।
লিটন দাস তাঁর স্বপ্নের একাদশে শ্রীলঙ্কা থেকে সর্বোচ্চ তিনজন নিয়েছেন। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার দুইজন করে ক্রিকেটার আছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে লিটন নিয়েছেন বহুদিনের সতীর্থ সাকিব আল হাসানকে।
সবমিলিয়ে লিটনের গড়া দলটা এমন – সনাথ জয়াসুরিয়া, বীরেন্দর শেবাগ, শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, ওয়াসিম আকরাম, শেন ওয়ার্ন, মুত্তিয়া মুরলিধরন, শোয়েব আখতার, চামিন্দা ভাস।
এই দলে ওপেনিং করবেন সনাথ জয়াসুরিয়া ও বীরেন্দর শেবাগ। টপ অর্ডারে তাঁদের সঙ্গী হবেন ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। রিকি পন্টিং, লিটন আর সাকিব সামলাবেন মিডল অর্ডার। স্পিন বোলিংয়ে সাকিবের সঙ্গে থাকছেন দুই গ্রেট মুত্তিয়া মুরলিধরন আর শেন ওয়ার্ন। পেস আক্রমণে থাকছেন চামিন্দা ভাস, ওয়াসিম আকরাম আর শোয়েব আখতার।
তামিম ইকবালকে কেন রাখেননি সেই কথা অনুষ্ঠানে জিজ্ঞেস করা হলেও লিটন তেমন কিছুই বলেননি। অবশ্য সত্যি বলতে সর্বকালের সেরা একাদশে তামিমকে জায়গা দেয়াটা একটু কঠিনই বটে। একাদশে নিজেকেই অধিনায়ক হতে হবে এমন শর্ত না থাকলে লিটন হয়তো নিজেকেই এসব মহারথীদের সঙ্গে এক কাতারে রাখতেন না।