এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সে হতাশ হতে হয়েছে পাকিস্তানকে, তবে সেই হতাশা আরো বেড়েছে পেস বিভাগের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নাসিম শাহ এবং হারিস রউফের ইনজুরির কারণে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দুই পেসারই আঘাত পান। নাসিম শাহ তো ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন, এখনো ফিট হয়ে উঠতে পারেননি রউফ।
জামান খান এবং ওয়াসিম জুনিয়রকে ইতোমধ্যে রউফদের বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে। আর তাই কিংবদন্তি স্পিনার সাকলাইন মুশতাক একদমই চিন্তিত নন ক্রিকেটারদের ইনজুরি নিয়ে। কেননা তাঁর বিশ্বাস রউফদের ব্যাকআপ ক্রিকেটাররা তাঁদের মতই দুর্দান্ত।
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর কয়েকদিন বাকি, লম্বা এই টুর্নামেন্টে পেসারদের বিকল্প তাই তৈরি রাখতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। সেই সাথে স্কোয়াডে থাকা পেসারদেরও খেলাতে হবে রোটেশন পদ্ধতিতে। নিয়মিত পেসারদের অনুপস্থিতিতে ওয়াসিম জুনিয়ররা একই প্রভাব রাখতে পারবেন বলেই বিশ্বাস সাকলাইন মুশতাকের।
সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘ওয়াসিম এবং জামান নাসিম, রউফদের লেভেলে পারফর্ম করতে পারে।’ টুইটারে এমন কথা জানান তিনি।
কাজটা অবশ্য এত সহজ হবে না। দিন কয়েক আগে শেষ হওয়া এশিয়া কাপে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছিলেন নাসিম শাহ এবং হারিস রউফ। চার ম্যাচে রউফ মাত্র ১৩.৩৩ গড়ে শিকার করেছেন ৯ উইকেট, সমান সংখ্যক ম্যাচে নাসিম প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন সাত ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে দুই পেসারের চোট পাকিস্তানকে ছিটকে দেয় মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট থেকে।
বিশ্বকাপেও নাসিম শাহকে না পাওয়া পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। শুক্রবারে ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়নি এই তরুণকে। তবে হাফ ফিট হলেও রউফকে রাখা হয়েছে দলে, সেই সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন হাসান আলী, ওয়াসিম জুনিয়র।
নাসিম শাহকে হারানোর ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তাই বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে ওয়াসিম জুনিয়রকে। জামান খান আপাতত স্কোয়াডে না থাকলেও তাঁকেও প্রস্তুত থাকতে হবে, যেকোনো সময় ডাক আসতে পারে ভারতের বিমান ধরার ৷