বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর আসন্ন। বিপিএলে অন্যতম সফল দল ঢাকা। তবে দলটির আগের ফ্রাঞ্চাইজি এখন আর নেই। এমনকি গেল বছর যেই ফ্রাঞ্চাইজি ছিল এই রাজধানীর দলের সাথে। এবার নেই তারাও। যুক্ত হয়েছে নতুন ফ্রাঞ্চাইজি। এবার দলটির নাম দুর্দান্ত ঢাকা। নতুন দল, নতুন ফ্রাঞ্চাইজি তবে নিশ্চয়ই তারা শিরোপা প্রত্যাশি। কিন্তু আদোতে শিরোপার দৌড়ে ঠিক কতদূর অবধি যেতে পারবে তারা সেটা অনিশ্চিত।
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষ হয়েছে। তবুও খুব একটা স্বস্তির জায়গা নেই ঢাকার দল দেখে। দেশীয় তারকা ক্রিকেটার বেশ কয়েকজন রয়েছেন বটে। তবে সব মিলিয়ে দলটা সেই পুরনো ঢাকার ভারিক্কিই যেন বহন করতে পারছে না। খেলোয়াড় ড্রাফটের আগেই দলটি পাঁচজন ক্রিকেটারকে দলের সাথে যুক্ত করে ফেলেছিলেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান পেস অ্যাটাকের আস্থাভাজন দু’জন রয়েছেন।
পেস আক্রমণের সেনাপতি তাসকিন আহমেদকে দলে নিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। সেই সাথে বা-হাতি পেসার শরিফুল ইসলামকেও দেখা যাবে ঢাকার জার্সি গায়ে। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ মোসাদ্দেক হোসেনও নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন ঢাকার ডেরায়। এদের সাথে আরাফাত সানি ও পাকিস্তানি লেগ স্পিনার উসমান কাদির যুক্ত হয়েছেন নতুন ফ্রাঞ্চাইজিটির সাথে।
এছাড়া জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানকে ড্রাফট থেকে সংযুক্ত করেছে দলটি। তাছাড়া ভিনদেশীদের মধ্যে শ্রীলঙ্কান উইকেটরক্ষক ব্যাটার সাদিরা সামাভিক্রামাকে দলটি ৪০ হাজার ডলারে নিজেদের করে নিয়েছে। বড় নাম বলতেই এই যা। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন অপরিচিত অনেকেই।
এই হচ্ছে ঢাকার এবারের এখন পর্যন্ত গড়া দল। এই চিত্র নিশ্চয়ই ঢাকার সমর্থকদের খানিকটা হলেও হতাশ করে। যদিও দল গড়ার সময় একেবারেই ফুরিয়ে যায়নি। চাইলেই দলগুলো খেলোয়াড় ভেড়াতে পারবে নিজেদের পতাকাতলে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে বিপিএল চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের পাকিস্তান সুপার লিগও থাকবে চলমান। ভিনদেশী তারকা ক্রিকেটারদের পাওয়ার সম্ভবনা তাই অত্যন্ত ক্ষীন। তাছাড়া দেশীয় তারকা ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যেই দল পেয়ে গেছে।
তাইতো খুব বেশি বিকল্প হাতে থাকবে না দুর্দান্ত ঢাকার সামনে। যদিও দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটের খুটিনাটি বেশ ভাল করেই জানেন। তিনি হয়ত চেষ্টা করবেন কোন এক সারপ্রাইজ প্যাকেজ নিয়ে হাজির হতে। তবুও ঢাকার সেই জৌলুসটাই যেন হারিয়ে গেছে কোথাও একটা।
একটা সময় তারকা খেলোয়াড় দিয়ে পরিপূর্ণ থাকতো রাজধানীর দল। বিশ্বের সব তুখোড় খেলোয়াড়দের আনাগোনা হতো মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স থেকে ঢাকা ডায়নামাইটস অবধি চলেছিল সেই জৌলুশের জোড়ার। তবে ক্রমশ সেটা হারিয়ে যেতে বসেছে।
বিপিএলের নবম আসরে একেবারে টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ করতে হয়েছিল ঢাকাকে। এবার অন্তত তেমন পরিস্থিতি এড়াতেই চাইবে ঢাকার নতুন ফ্রাঞ্চাইজিটি। তবে সে জন্যে প্রয়োজন পরীক্ষিত খেলোয়াড়। স্রেফ দেশীয় খেলোয়াড় নয়। বিদেশী পরীক্ষিত খেলোয়াড়দেরও একটা সংমিশ্রণ প্রয়োজন। এখন দেখার পালা দুর্দান্ত ঢাকা শেষ অবধি কেমন দল গড়ে।