তিন পেসারকেই একাদশে ঠাঁই দেবে ভারত?

এবারের ভারতীয় স্কোয়াডে বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ডটা মোহাম্মদ শামির। ২০১৫ ও ২০১৯— এই দুই বিশ্বকাপ মিলিয়ে ভারতীয় এ পেসার ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ৩১ টি উইকেট। যার মধ্যে ১ বার ৫ উইকেটের পাশাপাশি ৩ বার নিয়েছেন ৪ উইকেট। তারপরও এ পেসার নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে। 

বুমরাহ, সিরাজ আর শামিকে নিয়েই ভারতের পেসত্রয়ী। এই মুহূর্তে ওয়ানডের নাম্বার ওয়ান বোলার সিরাজ। আর ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকলেও দলের অটোমেটিক চয়েস জাসপ্রিত বুমরাহ। সেই বিবেচনায় ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে শামিকে তৃতীয় পেসার হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রোহিত শর্মার দল কি প্রতি ম্যাচে ৩ জন পুরোদস্তুর পেসার খেলাবেন? 

ভারতের একাদশে নিশ্চিতভাবেই থাকবেন হার্দিক পান্ডিয়া। যিনি আবার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের তৃতীয় পেসারের অভাবটাও পূরণ করতে পারেন৷ সর্বশেষ এশিয়া কাপেও এমনটা দেখা গেছে। যেখানে মাত্র ২ টা ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন শামি৷ কারণ শামির সেই ঘাটতি পূরণ করে দিয়েছিলেন পান্ডিয়া। 

পান্ডিয়া ছাড়া ভারতের স্কোয়াডে আরেকজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হলেন শার্দুল ঠাকুর। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যার উইকেট আবার সবার চেয়ে বেশি। এমতাবস্থায় দুইজন স্পেশালিস্ট পেস বোলিং অলরাউন্ডার থাকায় একজন পুরোদস্তুর পেসার নিয়ে একাদশ সাজানোর পথে আদৌ কি হাঁটবে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। শামির একাদশে সুযোগ পাওয়ার সংশয়ের প্রাবল্যতা মূলত এখানেই বেশি। 

ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট আসলে চাচ্ছে, একাদশে ব্যাটিং অর্ডার বিস্তৃত থাকুক। আর এ কারণেই কিছুটা পিছিয়ে পড়ছেন মোহাম্মদ শামি। রবীন্দ্র জাদেজা দলের অটোমেটিক চয়েস। আবার এবারের এশিয়া কাপের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া কুলদ্বীপ যাদবও একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে শক্ত জায়গা তৈরি করে রেখেছেন। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে মোহাম্মদ শামির ভারত দলে সুযোগ পাওয়াটাই বেশ কঠিনই বটে। 

কারণ কন্ডিশন অনুযায়ী স্পিন সহায়ক পিচে যুক্ত হতে পারে রবিচন্দন অশ্বিন। আর পিচ পেসারদের জন্য সহায়ক হলে একাদশে ঢুকে যাবেন শার্দূল ঠাকুর। কারণটা তো জানাই। বোলিংয়ের পাশাপাশি স্লগ ওভারে ভাল ব্যাটিং করতে পারেন শার্দূল ঠাকুর। 

চলতি বছরে অবশ্য বল হাতে ছন্দেই আছেন মোহাম্মদ শামি। ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। আছে একটা ফাইফারও। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কারণে আগের দুই বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলারকে সাইডলাইনেই বেশিরভাগ ম্যাচ কাটাতে হবে। আর এ কারণ বুমরাহ-সিরাজ-শামি এই পেসত্রয়ীকে একই ম্যাচে দেখা যাবে খুব কম ম্যাচেই।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link