ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল আফগানিস্তান, সেই আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করেই নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল তাঁরা। তবে এদিন আর রূপকথা লেখা হয়নি, উড়তে থাকা কিউইদের কাছে ১৪৯ রানে হেরেছে হাসমতউল্লাহ শহীদির দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুটা স্বাচ্ছন্দ্যেই করেছিল, কিন্তু সপ্তম ওভারে ইনফর্ম ডেভন কনওয়েকে আউট করে প্রথম আঘাত হানেন মুজিবুর রহমান। তবে রচীন রবীন্দ্র আর উইল ইয়ং মিলে স্কোরবোর্ডে রান তোলেন দ্রুত গতিতেই। বিশ ওভারের আগেই দলীয় শতক পূর্ণ করে ব্ল্যাকক্যাপসরা, তবে এরপরই রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন আজমতউল্লাহ।
একই ওভারে উইল ইয়ংকেও প্যাভিলিয়নের রাস্তা চেনান এই পেসার; খানিক পরে একই পথ ধরেন ড্যারি মিচেল। ১১০ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন চাপে পড়ে যায় দলটি; কিন্তু অধিনায়ক টম ল্যাথাম আর গ্লেন ফিলিপস সেই চাপকে স্থায়ী হতে দেননি। দুজনেই তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি, আর তাঁদের ১৪৪ রানের জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় কিউইরা।
শেষদিকে এই দুই ব্যাটার আউট হলেও চ্যাপমানের ২৫ রানের ক্যামিওর কল্যাণে ২৮৮ রানে জমা হয় স্কোরবোর্ডে। তুলনামূলক অনভিজ্ঞ আফগান ব্যাটিং লাইনআপের জন্য এই রান তাড়া করে জেতা একটু তো কঠিনই বটে।
কঠিন কাজটা আরও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে পাওয়ার প্লের মাঝেই দুই ওপেনারকে হারালে। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি; আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান আউট হন ট্রেন্ট বোল্টের বলে। তারপরই খোলসে ঢুকে যান আফগানি ব্যাটাররা, কিন্তু আউট হওয়া ঠেকানো যায়নি – ২৯ বলে আট রানের টেস্ট ব্যাটিং শেষে ফেরেন শহিদী।
এরপর অবশ্য রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন আজমতউল্লাহ। দুজনের ব্যাটে ভর করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে ওঠে আফগানিস্তান, কিন্তু এই তরুণ আউট হতেই ধ্বস নামে ব্যাটিং লাইন আপে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান রহমত এবং নবী। আর তাতেই ১২৬ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় দলটির।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। রশিদ, মুজিব সবাই আউট হয়েছেন দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই। শেষ পর্যন্ত সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সেই সাথে টানা চার ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় উইলিয়ামসন বিহীন নিউজিল্যান্ড।