খেরোখাতায় লড়াই

কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গোর প্রথম সিরিজ, অধিনায়ক হিসেবেও তামিমের প্রথম সিরিজ, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিবের ফেরা সেই সাথে দীর্ঘ এক বছর করোনার প্রকোপ ঠেলে মাঠে নামছে টাইগাররা। সিরিজ নিজেদের করে নিতে কোনো বিভাগেই যে বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না ক্যারিবিয়ানরা সেটি হলফ করেই বলা যায়।

অতীত ইতিহাস ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে কথা বললেও বর্তমান বাংলাদেশ দল রঙিন পোশাকে এখন বেশ উজ্জ্বল। গেলো বিশ্বকাপ কিংবা প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় সবকিছুতেই ক্যারিবিয়ানদের আটকে দিয়েছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে প্রায় এক বছর পর খেলতে নামছে টাইগাররা। ক্যারিবিয়ানদের খর্বশক্তির এই দলের বিপক্ষে থাবা দিয়ে সিরিজ ছিনিয়ে আনবে টাইগাররা এটিই সমর্থকদের প্রত্যাশা।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে মোট ৯টি সিরিজে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৪টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪টি সিরিজে জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ সিরিজে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২টিতে।

এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৮ বার মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ জিতেছে ১৫টি ম্যাচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২১টি ম্যাচ জিতেছে ও ২ টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এর মধ্যে ঘরের মাঠে ১৭ দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে ৬টি ম্যাচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ৫ দেখায় ৫ জয় ও শেষ ১০ দেখায় ৮টি জয়ই রয়েছে টাইগারদের দখলে।

ফিরে দেখা যাক দুই দলের লড়াইয়ের কিছু রেকর্ড।

  • টিম রেকর্ড

* সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৩৮/৭ (২০১৪, বাসেটেরে)

* সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরঃ বাংলাদেশ ৫৮/১০ (২০১১, ঢাকা)

* ম্যাচে দুই দলের মোট সর্বোচ্চ রানঃ ৬৪৩/১১ (২০১৯, টন্টন)

* দুই দলের মোট দলীয় সর্বনিম্ন রানঃ ১১৭/১ (২০১১, ঢাকা)

* সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় (রানের হিসেবে) – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭৭ রানে (২০১৪, সেন্ট জর্জ)

* সবচেয়ে বড় জয় (উইকেটের হিসেবে) – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে (২০০৬, জয়পুর)

* সবচেয়ে বড় জয় (বল ব্যবধানে) – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২৬ বল বাকি থাকতে (২০১১, ঢাকা)

*সবচেয়ে ছোট জয় (রানের হিসেবে) – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ রানে (২০১৮, প্রোভিডেন্স)

*সবচেয়ে ছোট জয় (উইকেটের হিসেবে) – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেটে (২০০৪, কিংস্টন)

* সবচেয়ে ছোট জয় (বল ব্যবধানে) – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২ বল (২০১৮, ঢাকা)

* এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত রান দিয়েছে – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৮ (১৯৯৯, ডাবলিন)

  • ব্যাটিং রেকর্ড

* সবচেয়ে বেশি রান – তামিম ইকবাল ২৬ ম্যাচে ৯৩৩ রান (দুইয়ে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম)

* ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর – দীনেশ রামদিন ১৬৯ (২০১৪ বাসেটেরে)। বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবাল ১৩০* (২০১৮, প্রোভিডেন্স)

* সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় – শাই হোপ (৯৪.৭৬)। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান (৫৫.৪৬)

* সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট – রভমান পাওয়েল (১২৩.৭৭)। বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য সরকার (১০৮.৬৩)

* সবচেয়ে বেশি শতক – শাই হোপ ৩টি (বাংলাদেশের পক্ষে আনামুল হক বিজয় ২টি)

* সবচেয়ে বেশি অর্ধশতক – সাকিব ৭ টি (দুইয়ে তামিম ৬টি)

* সবচেয়ে বেশি ডাক – হাবিবুল বাশার ৪ টি (দুইয়ে রফিক ৩টি)

* সবচেয়ে বেশি ছক্কা – ক্রিস গেইল ২০ টি (বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য সরকার ১৪ টি)

* এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা – দীনেশ রামদিন ১১ টি (২০১৪, বাসেটেরে)। বাংলাদেশের পক্ষে লিটন দাশ সর্বোচ্চ ৪টি

* বাউন্ডারি থেকে সবচেয়ে বেশি রান (৪+৬) – দীনেশ রামদিন ৯৮ (২০১৪, বাসেটেরে)। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৬৪

* ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট – মুশফিকুর রহিম ২৭২.৭২ (২০১৮, প্রোভিডেন্স)

* সবচেয়ে কম বলে শতক – ব্রায়ান লারা ৬২ বলে (১৯৯৯, ঢাকা)

* এক সিরিজে সর্বোচ্চ রান – শাই হোপ ২৯৭ (২০১৮,ঢাকা) এই তালিকায় দুইয়ে রয়েছেন তামিম ইকবাল

  • বোলিং রেকর্ড

* সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী – কেমার রোচ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১৯ ম্যাচে দুইজনেরই উইকেট সংখ্যা ৩০

* ইনিংস সেরা বোলিং – মারভেন ডিলন ২৯ রানে ৫ উইকেট (২০০৪, সাউদাম্পটন)। বাংলাদেশের পক্ষে তাপস বৈশ্য ১৬ রানে ৪ উইকেট

* সেরা ইকোনমি (বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে) – সাকিব আল হাসান (৩.৯৮)

* সেরা বোলিং স্ট্রাইক রেট – ডেভন থমাস (৩.৫)

* সবচেয়ে বেশি ৪ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছে – ভাসব্রাট ড্রেক্স ৪ ম্যাচে ৩ বার। (বাংলাদেশের পক্ষে আল আমিন হোসেন ৩ ম্যাচে ২ বার)

* সবচেয়ে বেশি ৫ উইকেট – কেমার রোচ ১৯ ম্যাচে ২ বার (বাংলাদেশের কেউ নেই)

* ইনিংস সেরা ইকোনমি রেট – আইডিআর ব্রেডশো ১.১০ (বাংলাদেশের পক্ষে খালেদ মাহমুদ সুজন ১.৫০)

* ইনিংস সেরা স্ট্রাইক রেট – তাপশ বৈশ্য ও সাকিব আল হাসান ৭.৫

* এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ – ১০ ওভারে ৮৪/২ (২০১৯, ডাবলিন)

* সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট ভাসব্রাট ড্রেক্স ৩ ম্যাচে ১২ উইকেট (বাংলাদেশের পক্ষে আল আমিন হোসেন ৩ ম্যাচে ১০ উইকেট)

  • উইকেটকিপিং রেকর্ড

* মোস্ট ডিসমিসাল – মুশফিকুর রহিম ২৬ ম্যাচে ৩১ টি (ক্যাচ-২৭ ও স্টাম্পিং ৪ টি)

* মোস্ট ডিসমিসাল (সিরিজ) – মুশফিকুর রহিম ৫ ম্যাচে ৯টি

ফিল্ডিং রেকর্ডঃ-

* সবচেয়ে বেশি ক্যাচ – কায়রন পোলার্ড ১২ ম্যাচে ১৫টি (বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২১ ম্যাচে ১২ টি)

* এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ – কায়রন পোলার্ড ৫ ম্যাচে ৯টি

  • পার্টনারশিপ রেকর্ড

* রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জুটি – ড্যারেন ব্রাভো ও রামদিন ২৫৮ ৩য় উইকেটে (২০১৪, বাসেটেরে)

* বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব-তামিম ২০৭ ২য় উইকেটে (প্রোভিডেন্স ২০১৮)

  • ব্যক্তিগত রেকর্ড

* দ্বিপাক্ষিক খেলায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন – তামিম ও মুশফিক ২৬ ম্যাচ

* অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ – মুশফিক ১১ টি ও মাশরাফি ১০ টি

* দুই দলের খেলায় বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন ৭ জন অধিনায়ক অপরদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১০ জন অধিনায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link