সিডনির আগুনে সৈকতের ঢেউ

এবার কি তবে নতুন ইতিহাস অপেক্ষা করছে সিডনিতে? সেটা নির্ভর করেছে সৈকত কতটা চাপ সামলাতে পারবেন তার ওপর। সিডনির মত অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশও।

সিডনিতে সিরিজ ডিসাইডার। কার হাতে থাকবে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শ্রেষ্ঠত্ব? – এই নিয়ে যুদ্ধংদেহী বেশে মাঠে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। অথচ, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে একজন বাংলাদেশি। তিনি না বোলিং করবেন না ব্যাটিং – তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন মাঠে।

এর মাঝেই হয়তো দর্শকদের দুয়োধ্বনি শুনতে হবে। যেমনটা শুনেছিলেন মেলবোর্নেই, সেদিন টিভি আম্পায়ার ছিলেন। এবার তিনি থাকবেন মাঠে। শুধু দর্শক নয়, ভারতের ক্রিকেটাররাও চেপে ধরবেন। কচুকাটা করতে প্রস্তুত ভারতীয় গণমাধ্যম, স্যোশাল মিডিয়ায় উত্তাপ তো আগে থেকেই ছড়াচ্ছেন ভারতীয় ভক্ত-সমর্থকরা।

শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত নি:সন্দেহে এত চাপ নিয়ে এর আগে কখনোই মাঠে নামেননি। সৈকত এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র আম্পায়ার। এই লড়াই যেমন তাঁর নিজের, তেমনটা বাংলাদেশের।

একদিকে কুৎসা যেমন আছে, তেমন আছে প্রশংসাও। মাইকেল ভন যেমন বলেই দিয়েছেন, সৈকতের সিদ্ধান্তের সমালোচনা যারা করছেন তাঁরা আসলে বোকার রাজ্যে বসবাস করেন। এটা থামানো দরকার। সাইমন টফেল কিংবা রিকি পন্টিংরাও আছেন এই তালিকায়।

এমনকি খোদ ভারতেও সৈকতের পক্ষে কথা বলার লোকের অভাব নেই। এমনকি খোদ সুনীল গাভাস্কারও সৈকতের সমালোচনা নয় বরং প্রযুক্তির সমালোচনা করতেই সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন এখন।

তারপরও, এই উত্তপ্ত অগ্নিকুণ্ডে আগে কখনও বসা হয়নি সৈকতের। আগুনের উত্তাপে ঘি ঢালছেন আবার অজি ক্রিকেটাররা। প্যাট কামিন্স যেমন বলেই দিলেন, যশস্বী জয়সওয়াল জানতেন তিনি আউট। কেবল প্রযুক্তির অজুহাতে চাতুরি করতে চেয়েছিলেন। ভারত এর জবাবটা নিশ্চয়ই কামিন্সদের মাঠেই দেওয়ার অপেক্ষায় আছে।

বোঝাই যাচ্ছে, শুধু মাঠের সঠিক সিদ্ধান্ত নয় – মাঠের খেলোয়াড়দের সম্ভাব্য সংঘাতও সামলাতে হবে সৈকতকে। অবশ্য, ইদানিং সামলানোর কাজটা বেশ সাহসের সাথেই করছেন সৈকত। তাঁর মত নিখুঁত আম্পায়ার আজকাল আর দেখা যায় না বললেই চলে। আর মেলবোর্নের ডিআরএস তো তাঁকে নিয়ে গেল ইতিহাসের পাতায়।

এবার কি তবে নতুন ইতিহাস অপেক্ষা করছে সিডনিতে? সেটা নির্ভর করেছে সৈকত কতটা চাপ সামলাতে পারবেন তার ওপর। সিডনির মত অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশও।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link